পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So কৃষিতত্ত্ব। ঢেকিয়া বঁাশ পোর কচু । ইহা দ্বিতীয় প্রকার বাশ পোর কচু। বাঁশ পোর অপেক্ষা অনেক বড় হয় । বলিয়া ইহাকে ঢেকিয়া বাঁশ পোর বলে। আবাদের প্রণালী বাশ পোর কচুর তুল্য, রঙ্গপুরে ইহা অদিক জন্মে। নারীকেলী কচু । ইহাও এক প্রকার শোলাকচু। ইহার আবাদ করিবার প্রণালীসকলই छेडक्रo । श्ां अडि श्र१ति 1 डझकट्ठी । মুখী অথবা বয়ে, কি বৈ কচু। ইহার নিমিত্ত হালকা পলি ও দোয়াস মৃত্তিক প্রশস্ত। কঠিন ও বালির ভাগ যে স্থানে অধিক, সে স্থানে ইহা ভাল হয় না। ফরিদপুর, রঙ্গপুর ও বগুড়া জেলাতে ইহার অধিক আবাদ হয় । গোল আলুর ন্যায় একটী গাছের নীচে ইহা অনেক উৎপন্ন হয়। মধ্যম প্রকার কচু, বীজের জন্য ক্ষেত্রে রাখিয়া অপর সকল কচু উত্তোলন করে। সেই বীজ হইতে অন্ধুর উদগত হইলে উত্তোলন করিয়া ক্ষেত্রে রোপণ করিতে হয়। অথবা যে কচু উঠাইয়া লওয়া হয়, তাহা হইতে বাছিয়া লইয়া ক্ষেত্রে রোপণ করা যাইতে পারে । , ফাল্গুন হইতে বৈশাখ মাস পৰ্য্যন্ত রোপণের সময়। ক্ষেত্রে উত্তমরূপ চাষ দেওয়া আবশ্যক এবং সার দেওয়া কৰ্ত্তব্য। ছাই সারই প্ৰশস্ত। গোময়ের সারও দেওয়া যাইতে পারে। মই টানিয়া ক্ষেত্র সমতল করিবে। তদনন্তর দেড় ফুট ব্যবধানে এক এক শ্রেণী করিয়া রোপণ করিতে হয়। এক এক শ্রেণীর স্থানে লাঙ্গল টানিয়া সাত আট ইঞ্চি পরিমাণ গভীর জোল করিয়া সেই জুলিতে পাঁচ ছয় ইঞ্চি অন্তর অন্তর এক একটা চারা কি এক একটী বীজ কচু রোপণ করিয়া গোড়ায় পরিমিতরূপ মৃত্তিক চাপা দিবে। চারা ক্ৰমে যেমন বড় হইতে থাকিবে, ক্রমে গোড়ায় মাটী দিবে, মূল প্ৰবল হইবার পর উপরে গোল আলুর যে প্রকারে মৃত্তিক দিতে হয়, সেইরূপে মৃত্তিক দিয়া কান্দী বান্ধিয়া দিবে। ক্ষেত্রে জল বদ্ধ হইলে নষ্ট হয়।