পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ, ο R. কৃষিতত্ত্ব । এই মূল হইতে চুর্ণ এরা রুট প্রস্তুত হয়। ইহা রোগীর পথ্যে ব্যবহার झन्न । ܩܢܩܚܩ আদ্রক, আদা, আদরাক । ইহা উচ্চ অথচ বহুদিনের পতিত ভূমিতে উত্তম জন্মে। যে স্থানে নীচের মৃত্তিকাতে বালির ভাগ অধিক, উপরে পলি অথবা অন্য প্রকার হালকা বৃত্তিকা আছে এই প্রকার ভূমিই প্রশস্ত। যে ক্ষেত্রে জল বদ্ধ হয় অথবা বর্ষ। সময়ে বন্যার জল উঠে, এমন স্থানে আবাদ হইতে পারে না । খিয়ার এবং র্দোয়াস মৃত্তিকাতেও জন্মে, কিন্তু খিয়ার মৃত্তিক কঠিন হইলে মূলের বৃদ্ধি হয় না । দোয়াস মৃত্তিকাতে যদি অধিক রস না থাকে। তবেই ভাল হয়। সার না দিলেও হইতে পারে। দিলে অধিক উৎপন্ন হয়। অধিক দিনের পতিত ভূমিতে সারা দেওয়ার বিশেষ প্ৰয়োজন হয় না । সার দিতে হইলে গোময়ের শুষ্ক সার চূৰ্ণ করিয়া দিতে হয়। বঙ্গদেশের মধ্যে রঙ্গপুরে অত্যধিক আবাদ হয়, প্ৰতিবৎসর প্রায় এক লক্ষ মণ বহির্বাণিজ্যে প্রেরিত হইয়া থাকে। । 臀 বীজের নিমিত্ত উত্তম আদা সংগ্ৰহ করিয়া রাখিবে । আদার পিলাই ( গাছের গোড়ায় পূর্ব রোপিত বীজ ভাগ অর্থাৎ যে বীজ খণ্ড হইতে গাছ জন্মিয়াছে।) ত্যাগ করিয়া চোখ যুক্ত এক এক খণ্ড ভাঙ্গিয়া লইয়া রোপণ করিতে হয়। ঐ রূপে খণ্ড খণ্ড করিয়া ভাঙ্গিয়া এক দিবস রৌদ্রে শুষ্ক করিয়া গৃহাভ্যন্তরে এক স্থানে খড় বিছাইয়া তাহার উপর এক ফুট পরিমাণ উচ্চ ভূপ ( গাদি ) করিয়া সাজাইয়া রাখিবো। পরে যথা সময়ে ক্ষেত্রে রোপণ করিবে । এক বিঘা। ভূমিতে পাচ মণের অধিক বীজ-আদা রোপণ করিতে হয় না। বৈশাখ মাস রোপণের উপযুক্ত সময় ৭ অন্ততঃ জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথমাৰ্দ্ধেও রোপণ করা যাইতে পারে। বৃষ্টি হইলে চৈত্রের শেষাৰ্দ্ধেও রোপণ করা যায়। মাঘ অথবা ফাস্তুন মাসে ক্ষেত্র কোদালি দ্বারা খনন করিয়া রাখিবে । বৈশাখ মাসে উত্তমরূপে কৰ্ষণ করিয়া প্রয়োজন মত সার দিবে। এবং ঘাস মুখাদি বাছিয়া ফেলিবে, ঢেলা ভাঙ্গিয়া চুৰ্ণবৎ করত। মই দ্বারা ক্ষেত্র সমতল