পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sco কৃষিতত্ত্ব । অনুন তিন হাত পলি ও নীচে বালি তাহাতে এবং এক ভাগ বালি ও দুই ভাগ চিকণ এই প্রকার দোয়াস মৃত্তিক প্রশস্ত। অন্য মৃত্তিকাতেও জন্মে কিন্তু গাছ অধিক দিন জীবিত থাকে না এবং ফলও অধিক হয় না। দগ্ধমুক্তিকার ও আমাইটের গুড়ায় ইহার বিশেষ উপকার হয়। যে স্থানের মাত্তিকার সহিত দগ্ধমৃত্তিকা মিশ্রিত আছে তাহাতে অতি উত্তম জন্মে। অন্য जiब्र অপেক্ষা লবণ ও পান (বারিপণী) পচা সার প্রশস্ত। গোময়াদির সারেও যথেষ্ট উপকার হয় । বঙ্গদেশের সর্বত্রই ইহার অল্প বা বিস্তর গাছ আছে। কিন্তু দক্ষিণ এবং পূৰ্ব্ব ভাগেই অত্যধিক জন্মে। এই দুই ভাগে স্বভাবতঃ যে প্রকার জন্মে, বিশেষ যত্ন করিলেও অন্যত্র তন্দ্ৰপ হয় না। বাখরগঞ্জ, বরিশাল, বিক্রমপুর প্রভৃতি স্থানে অত্যধিক হয়। কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তি স্থান সমূহেও অপৰ্যাপ্ত জন্মে । যে সকল স্থানে স্বভাবতঃ উত্তম ও অধিক গাছ হয় না, সেই সকল স্থানে বিশেষ যত্ন করিয়া জন্মান কৰ্ত্তব্য। ইহা অতি মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় বস্তু। ইহার জন্য বিশেষ পরিশ্রম করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য। যে সুপক্ক ফল বৃক্ষ হইতে আপনি পতিত হয়, বীজের জন্য তাহা সংগ্ৰহ করা উচিত। উহার মুখের নিম্ন হইতে যে চারা জন্মে, তাহাই উত্তম। সুপক নারিকেল মাত্রেরই চারা হইতে পারে। কিন্তু তাহার অনেক নষ্ট হয়। বর্ষাকালে যে চারা জন্মে, তাহা অধিককাল বঁাচে না। অগ্রহায়ণ হইতে চৈত্র মাস পৰ্যন্ত রৌদ্রের উত্তাপ না লাগে এমন স্থানে (গৃহাভ্যন্তরে ) চার জন্মাইতে হয়। নারিকেলের দুইভাগ মৃত্তিকার নীচে ও একভাগ উপরে থাকে, এইরূপ করিয়া পুতিয়া রাখিবো। অধিক চার জন্মাইবার প্রয়োজন হইলে গৃহাভ্যন্তরে জন্মান যাইতে পারে না। ছায়া বিশিষ্ট কোন এক খণ্ড ভূমি কোদালী দ্বারা খনন ও মুক্তিক চূর্ণ করিয়া সেই স্থানে নারিকেল সকল সোজা করিয়া চারাইবে । ঘন ঘন চারাইলেও কোন ক্ষতি হইবে না। বক্রভাবে (ভেড়ি) চারাইলে নারিকেলের মুখ ভেদ করিয়া চারা বাহির হয় না, অন্যস্থান ভেদ করিয়া চারা বাহির হয়। সে চারা অনেক নষ্ট হয়। কিন্তু যে স্থানে পুতিবে, সেই