পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R কৃষিতত্ত্ব। অন্যত্র না যায় মূলে প্রবিষ্ট হয় এরূপ উপায় করিয়া দিবে। ইহাতেও কীট না যাইলে কিঞ্চিৎ দূর হইতে সুড়ঙ্গের ন্যায় খনন করিয়া সেই কীট বাহির করিয়া নষ্ট করিবে। গাছের মস্তকে পত্রের মূলদেশে কাপড়ের ন্যায় এক একটী পদার্থ থাকে। প্ৰতিবৎসর দুইবার তীক্ষ অস্ত্ৰ দ্বারা তাহ ছেদন করিয়া অগ্রভাগ পরিণ স্কার রাখা কৰ্ত্তব্য। গাছে আঘাত না লাগে, এইরূপ সতর্ক হইয়া সেই কাৰ্য্য করিবে। দুই তিন বৎসরের গাছ হইলে ঐ কাৰ্য্য আরম্ভ করিবে। যত দিবস গাছ জীবিত থাকে, ততকাল প্ৰতি বৎসর এই কাৰ্য্য করিতে হয়। ইহাতে সহসা কীট লাগে না, ফল অধিক হয়। গাছ বড় হইলে আর এক প্রকার কীট মস্তকে জন্মিয়া নূতন পত্র বহির্গত হইবার স্থান কাটিয়া দেয়। সেই কীট একপ্রকার দুনিবার। সেই কীটে যখন গাছের ক্ষতি করিবার উপক্ৰম করিয়াছে দেখিবে তখন তীক্ষাগ্ৰ কোন অস্ত্রের দ্বারা সেই স্থান ভেদ করিয়া চিমটা দিয়া ধরিয়া কীট বাহির করিবে। যদি ওরূপ করিবার অসুবিধা হয়, তবে তৎস্থানে লালী গুড় ঢালিয়া দিবে। ক্রম পিপীলিকা তদবলম্বনে প্ৰবিষ্ট হইয়া কীট নষ্ট করিবে। কীট নষ্ট হইলে কয়েক দিবস জল দেওয়া কৰ্ত্তব্য। নতুবা পিপীলিকা দ্বারাও পশ্চাৎ অপকার হইতে পারে । বৎসরের মধ্যে প্ৰায় দুইবার ফল হয়। একটী গাছে উপযুক্ত মত ফল ধরিলে বৎসরে নুনাধিক দুই টাকা আয় হইতে পারে। এক বিঘা। ভূমিতে একশত গাছ জন্মান যাইতে পারে। নৃত্যুনকল্পে এক বিঘাতে দেড়শত টাকা আয় হইবে। কচি নারিকেলের জলের গুণ—লঘুত্ব, শীতলত্ব, মধুরত্ব, পিত্ত তৃষা বিদাহ। শ্ৰান্তিমুখশোষনা শিত্ব, সুখদায়িত্ব, বিৱেচনত্ব। পঙ্ক ঝােনা নারিকেলের জলের গুণ-কিঞ্চিৎ পিত্তকারিত্ব, রুচিকরুত্ব, মধুরত্ব, দীপনতৃত্ব, বলকারত্ব, গুরুত্ব। কোমল নারিকেলের শস্যের গুণ-পিত্তাজ্বর, মূত্রদোষ নাশিত্ব। পঙ্ক নারিকেলের শস্যের গুণ-শীতলত্ব, দুর্জরত্ব, বলকারত্ব, বাতপিত্তদাহ নাশিত্ব। ইহা নানাবিধ কাৰ্য্যে ব্যবহার হয়। জল এবং শস্য ভক্ষণীয়। শস্যে যথেষ্ট তৈল হয়। পৰ্ক নারিকেলের খোলে হাঁকা হয়। ত্বকের আঁশ দ্বারা রাজু হয়। অপর ভাগ জালানি কাজে লাগে। ইহার কিছুই অকৰ্ম্মণ্য নয়।