পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । صو؟ আড় করিয়া একটী বঁাশ বান্ধিবো। ঐ বঁাশ পাশ্ব পরিবর্তন করিতে পারে এমত ভাবে বান্ধিবো। অন্য একটি লম্বা বঁাশের এক মাথা জলের দিগে এক মাথা ক্ষেত্রের দিগে রাখিয়া প্রথমোক্ত বঁাশের মধ্যস্থলে সংযুক্ত করিয়া বান্ধিবো। ক্ষেত্রের দিগে বঁাশের যে ভাগ থাকিবে, তাহাতে আতিশয় ভারি কোন বস্তু বান্ধিয়া দিবে। জলের দিগে যে ভাগ থাকিবে, তাহাতে কিছু সূক্ষ্ম এক খণ্ড বঁাশ ঝুলাইয়া বান্ধিবো। এই বঁাশের নীচ ভাগে ডোঙ্গার প্রশস্ত মুখ শক্ত করিয়া অ্যাটিয়া বান্ধিবো। অপ্রশস্ত মুখ জলাশয়ের তীরে সংলগ্ন রাখিতে হয়। তীরের যে স্থানে সংলগ্ন থাকিবে, সেই স্থান হইতে সুবিধা মত ক্ষেত্রে জল যাইতে পারে, এ নিমিত্ত ক্ষেত্ৰাভিমুখে প্ৰণালী খনন করিয়া দিবে। ডোঙ্গা ঐ দুই খুটির মধ্য দিয়া জলাশয়ের কিয়দৱ পৰ্যন্ত যাইয়া উল্লিখিত বঁশের সহিত সংযুক্ত থাকিবে । তাহার পার্শ্বে মাচি বান্ধিয়া মাচির উপর এক জন লোক দাড়াইয়া ডোঙ্গার মুখের সহিত সংলগ্ন বঁাশটী নীচের দিগে চাপিয়া ধরিয়া ডোঙ্গ জলমগ্ন করিয়া ছাড়িয়া দিবে। চাপিয়া ধরার সময় বাশের যে মাথা ক্ষেত্রের দিগে থাকে, তাহা উৰ্দ্ধে উঠিবে, জলের দিগে যে মাথা থাকিবে তাহা নীচগামী হইবে । ছাড়িয়া দিলে বিপরীত ভাব হইয়া ক্ষেত্রের দিগের মাথা নীচ দিগে হেলিয়া পড়িবে, জলের দিগের মাথা উৰ্দ্ধে উঠিবে, ইহাতে অনায়াসে জল উঠিয়া তীরে পড়িয়া নালা দিয়া সুযোগ মত ক্ষেত্রে যাইবে। কুপ কি ইন্দারা হইতে জল তুলিবার আবশ্যক হইলে কথিত সূক্ষ্ম বঁাশটীর জলের দিগে যে মাথা থাকে, তাহাতে একটী বালতি (বালিশা ) বান্ধিয়া দিতে হয়, ডোঙ্গা পৃথক থাকে। উক্ত নিয়মে জল উঠাইয়া ডোঙ্গায় ঢালিয়া দিলে নালা দিয়া ক্ষেত্রে যায় । সিউনী বা সেউতী । এ প্রদেশে এই যন্ত্রের বহুল প্রচার আছে। এই যন্ত্র বঁাশের দ্বারা প্ৰস্তুত হয়, ত্ৰিকোণাকার, নৌকার জল সেচনের সিউনীর আকৃতি কিন্তু ইহা পরিমাণে বড় করিতে হয়। তিন হাত পরিমাণ দীর্ঘ করিতে হয়, ইহার অধিক হইলে সুবিধা হয় না। ইহা দ্বারা দুইজন লোকে জল সেচন করিতে পারে । ইহার অগ্রভাগের দুই কোণে দুই গাছ রজ্জ্ব ও পশ্চাৎ ভাগের দুই দিগে দুই