পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । Sዓ বীজ কোন ক্ষেত্রে বা স্থানে রোপণ কি বপন করিলে তাহ অল্প মৃত্তিকার নীচে না থাকে এবং উপরে অধিক মৃত্তিকার চাপ না পড়ে, এমত বিবেচনা করিয়া কাৰ্য্য করিবে । বীজ যত বড় হইবে ততই পরিমাণ মত কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ অধিক মৃত্তিকার চাপ সহ্য হইবে। বীজের অবস্থা বিবেচনা করিয়া তন্দ্রপ কাৰ্য্য না করিতে পারিলে অন্ধুর হইবার পক্ষে ব্যাঘাত জন্মিবে। বীজ বপন কি রোপণ করিবার পূর্বে ভূমির উত্তমরূপ চাষ করিয়া পাট ( সমতল ) করিবে । ভূমির উৎপাদিকা শক্তি রক্ষা এবং বৃদ্ধির জন্য ক্ষেত্রে সার দেওয়া আবশ্যক, ইহা মনে রাখিয়া উপযুক্ত সময়ে সার দিবে। বীজ বপন কি রোপণের পূর্বে যখন চাষ করিবে, সেই সময়ে সার সমুদয় ক্ষেত্রে ছাড়াইয়া দিবে। বৃক্ষাদির গোড়ায় প্ৰতিবৎসর একবার অবশ্য সার দিতে হয়। ক্ষুপ জাতির আবশ্যক বিবেচনায় সময় সময় সার দিতে হয়। ইক্ষু, পান, তামাকু প্ৰভৃতি অনেক উদ্ভিদের মূলে অনেকবার সার দিতে হয়, তাহা যথা স্থানে লিখিত হইবে । বর্ষাকালে কোন উদ্ভিদের মূলে সার দিলে বৃষ্টির জলে ধৌত হইয়া যায় এ জন্য মাঘ ফাল্গুন মাসে মূলের কিঞ্চিৎ দূর হইতে কিঞ্চিৎ মৃত্তিকা খনন করিয়া তাহার সহিত সার মিশ্রিত করিয়া দিয়া কয়েক দিবস জল দিবে। কিন্তু চারার মূলে মৃত্তিকার উপরে সার দিলেও যথোচিত উপকার পাইবে না। ফলোৎপাদক উদ্ভিদের মুকুল হইবার পূর্বে সারা দিয়া সময় সময় জল দিলে ফল বড় এবং অধিক হইবে । যে মুখ হইয়া প্ৰথম হাল যোজনা করিবে, ক্ষেত্রের প্রান্ত পৰ্যন্ত সেই মুখে চলিয়া কিঞ্চিৎ ঘুরিয়া প্ৰতিমুখ হইয়া অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত আসিবে। এই রূপে সমুদয় ক্ষেত্র একবার কর্ষণ করিয়া পুনর্বার অন্যমুখ হইয়া আর একবার সমুদয় ক্ষেত্র কর্ষণ করিয়া এরূপে দুইবার মই টানিবে। ইহাকে এক চাষ বলে। মনে কর প্রথম পূৰ্ব্বমুখ হইয়া লাঙ্গল ধারণ করিল। সেই মুখে প্রান্তপৰ্যন্ত যাইয়া কিঞ্চিৎ ঘুরিয়া পশ্চিমমুখ হুইয়া পশ্চিম প্রান্তপৰ্যন্ত গেল। তাহার পর উত্তর মুখ হইয়া কিঞ্চিৎ ঘুরিয়া পূৰ্ব্ব প্ৰান্ত পৰ্যন্ত গিয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তনক্ৰমে দক্ষিণমুখ হইয়া সমুদয় ক্ষেত্র একবার কর্ষণ করিবে: