পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব। ৩৫ বৃষ্টির জলের প্রতি নির্ভর করিয়া আবাদ করে। যে বৎসর যে প্রদেশে বৃষ্টি না হয়, সে প্রদেশে সে বৎসর এ ধান্য কিছুমাত্র উৎপন্ন হয় না। এই ধান্য দ্বারা সমুদয় দেশের জীবন রক্ষা হয়, কিন্তু অনাবৃষ্টি অথবা অতিবৃষ্টি হইয়া আবাদের হানি হইলে দুর্ভিক্ষের কারণ হইয়া দাড়ায়। জল সেচনের যে সকল সামান্য উপায় আছে, প্ৰায় কেহ তাহ অবলম্বন করিয়া আবাদ করিতে যত্ন ও চেষ্টা করে না। জল সেচনার্থ খাত খনন আদি উপায় অবলম্বন পূর্বক আবাদ করিবার চেষ্টা যে পৰ্য্যন্ত না হইবে, সে পৰ্য্যন্ত এদেশের মঙ্গলের स्छ Cश् च । । বাদা, বরিশাল, বাখরগঞ্জ, সুধারাম, যশোহর, চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা, শ্ৰীহট্ট, ময়মন সিংহ, রঙ্গপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, জলপাইগুড়ি, রাজ্য-কোচবেহার ইত্যাদি স্থানে অত্যধিক আবাদ হয়, বৰ্দ্ধমান প্ৰভৃতি জেলাতেও অল্প আবাদ श्व न । এই ধান্যের চার জন্মাইবার নিয়ম। সরস সসার একখণ্ড উচ্চ ভূমি তিন অথবা চারিবার চাষ দিয়া ঢেলা আদি ভাঙ্গিয়া সমতল করিবে, এবং ঘাস মুখ ইত্যাদি বাছিয়া স্থানান্তরে ফেলিবে, তৎপরে লাঙ্গল দ্বারা কর্ষণ করিয়া মই দিবে। তাহার পর বীজ-ধ্যান্য বপন করিয়া তখনই আবার কর্ষণ করিয়া মই দিবে। এক বিঘা। ভূমিতে এক মণ বীজ বপন করিতে হয়। যে ভূমি নীরস এবং শুষ্ক তাহাতে বীজ অঙ্কুরিত হয় না। তদবস্থার ভূমিতে বীজ বপন করিলে অল্প পরিমাণে জল সেচন করা আবশ্যক। এই ভূমিতে সার দিলে চারা সকল সবল এবং তেজস্বী হয়। বীজ বপনের পর অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হইলে উপকার হয়। ক্ষেত্রে ঘাস হইলে একবার নিড়ান কৰ্ত্তব্য। চারা সকল ছয় ইঞ্চি হইতে দশ ইঞ্চি পৰ্য্যন্ত উচ্চ হইবার অবস্থায় নিড়াইতে হয়। চৈত্র মাসের শেষাৰ্দ্ধ হইতে আষাঢ় মাস পৰ্যন্ত বীজ বপনের সময়। ষে কৃষক অধিক ভূমি আবাদ করিবে, তাহার কেবল মাত্র এক খণ্ড ভূমিতে বীজ বপন করিয়া নিশ্চিন্ত থাকা উচিত নয়, অগ্র পশ্চাৎ ক্রমে খণ্ডে খণ্ডে বীজ বপন করিয়া চার জন্মাইবে । তদনন্তর যে যে ক্ষেত্রে চারা রোপণ,