পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSOV কৃষিতত্ত্ব । করিবে , সেই সেই ক্ষেত্রের জলের পরিমাণ অনুসারে চার লইয়া তত্ত্বৎ ক্ষেত্রে বসাইতে পরিবে। এইরূপে উৎপন্ন চারাকে গচি বিছন বলে । দ্বিতীয় প্রকার। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হইলে এক খণ্ড ভূমি উত্তম রূপে চারি বার কর্ষণ করিয়া কাদা করিতে হয়। বৃষ্টি না হইলে দুইবার চাষ দিয়া সেচন করিয়া জল দিবে। তৎপরে আর দুই চাষ দিয়া কাদা করিয়া সেই ভূমিতে বীজ বপন করিবে। কর্দম শুকাইবার পর অধিক বৃষ্টি হইলে বীজ সকল একত্রিত হইয়া নষ্ট হয়। ইহা নিড়াইতে হয় না । ইহাতেও এক বিঘা ভূমিতে এক মণ বীজ বপন করিতে হয়। এই প্রকারে উৎপন্ন চারা শ্রাবণ মাস হইতে আশ্বিন মাসের প্রথমাৰ্দ্ধ পৰ্য্যন্ত ক্ষেত্ৰান্তরে রোপণ করা যাইতে পারে। ইহার নাম নেওচা বিছন। কি পরিমাণ ভূমির উৎপন্ন চারা কি পরিমাণ ভূমিতে বপন করা যাইতে পারে, ইহা নিশ্চয় করা কঠিন। সাধারণতঃ এই স্থির করা যাইতে পারে যে এক বিঘা। ভূমির উৎপন্ন চারা কিঞ্চিৎ নৃত্যুনাধিক ষোল বিঘা। ভূমিতে রোপণ করা যাইতে পারে। স্থানান্তরে রোপণ করিবার নিমিত্ত গচিবিছন। তুলিবার প্রণালী এই, এক একটী চারার মূল ক্ষুরপ্র ( পাসুন) দ্বারা খুলিয়া চারা উঠাইতে হয়, উঠাইবার সময় বিশেষ সতর্ক হইয়া কাৰ্য্য করা আবশ্যক। শিকড় কিয়দংশ কাটা যায়, কিয়দংশ চারার সহিত থাকে, এইরূপে খুলিয়া চারা উঠাইয়া মূলে যে মৃত্তিকা লগ্ন থাকিবে, তাহা ঝাড়া দিয়া ফেলিবে। তৎপরে চারি চারি মুষ্টি চারা এক একটী আর্টি বান্ধিয়া খাড়া করিয়া জলে রাখিবো। চারার অগ্রভাগ জলের উপরে থাকা আবশ্যক। দুই দিবস জলে রাখিয়া পরে রোপণ করিতে পারিলে ভাল হয়। অন্ততঃ এক দিন রাখিলেও রোপণ করা যাইতে अiहन्न । নেওচা বিছন। তুলিবার নিয়ম এই, তাহী ক্ষুরপ্র দ্বারা উঠাইতে হয় না, এক হস্তের মুষ্টি দ্বারা এক বারে যত চার ধরা যাইতে পারে, তাহা তদ্রুপ ধরিয়া টানিয়া উঠাইবে। পশ্চাৎ ঝাড়িয়া মূলের মাটি ফেলিয়া আট বান্ধিয়া উক্ত মত জলে রাখিবে। চারা স্থানান্তরে রোপণের উপযুক্ত সময়ে এদিগে ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত করিতে