পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89. কৃষিতত্ত্ব । হইয়া ধান্যের গাছ একেবারে ডুবিয়া গেলে বিনষ্ট হয়। যদি দুই তিন দিনের মধ্যে জল কমিয়া গাছের অগ্রভাগ ভাসে। তবে সম্পূর্ণ হানি হয় না। এই ধান্যের সহিত একত্র আশুদ্ধান্য অথবা তিল বপন করা যাইতে পারে । আশুদ্ধান্য সহ মিশ্রিত করিয়া বপনের ইচ্ছা হইলে আশুধান্যের বীজ দশ আনা ও এ ধান্যের বীজ ছয় আনা একত্র মিশ্রিত করিয়া বপন করিতে ङ्श् ! তিল বপনের ইচ্ছা হইলে অগ্ৰে এই ধান্যের বীজ চৌদ্দ আনা বপন করিয়া তৎপরীক্ষণে দুই আনা পরিমাণে তিল বপন করিতে হয়। তিল অথবা আশুদ্ধান্য যথা সময়ে পাক হইলে তাহা কৰ্ত্তন করিয়া লইবে। এই ধান্যের গাছ ক্ষেত্রে থাকিবে। এই সময় একবার নিড়াইতে পারিলে ऊाक्ष झूझ । উহা কৰ্ত্তনের পর ক্ষেত্রে যত জল হইতে থাকে, এই ধান্যের গাছ তত বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে। কাৰ্ত্তিক মাসের শেষাৰ্দ্ধ হইতে আগ্রহায়ণ মাস পৰ্য্যন্ত পাক হইবার সময় । শালি ধান্য যে রূপে কৰ্ত্তন, মর্দন করিয়া লইতে হয়, ইহাও তদ্রুপেই করিতে ३१ । এক বিঘা। ভূমিতে অনুন পনর মণ ধান্য উৎপন্ন হয়। যত্ন করিয়া রাখিলে दछ दिन द्वश्रi गांव । এ ধান্য সুক্ষ্ম (মোহি) হয় না, স্থূল (মোটা) হয়। ইহার আতপ, ও উশনা, দুই প্রকারই চাউল হয় এবং চিড়া, খৈ ও হুড়মও হয়। শালি ধান্য দ্বারা যে প্রকারে আতপ ও উশনা প্ৰভৃতি প্ৰস্তুত করে, ইহার দ্বারাও এ সকল তদ্রপে c2छुङ कझेिgङ झ्छ्न् । কাৰ্ত্তিক মাসে পঙ্ক হইলে হিন্দুদিগের দৈব ও পৈত্র্য কৰ্ম্মে ব্যবহার হয় না। অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে পাক হইলে শালি ধান্যের ন্যায় ব্যবহাৰ্য হয়। ইহার গুণ-মধুরত্ব, শুক্রবৃদ্ধিকরুত্ব, বলদাতৃত্ব, পিত্তনাশিত্ব, শ্লেষ্মকারিত্ব, অল্প তেজস্করত্ব, কিষায়ত্ব, গুরুত্ব, হিমন্ত্ব।