পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৭৭

কৃষিতত্ত্ব । ©ፃ করা যায় না। ইহার নিমিত্ত ক্ষেত্র চাষ করা কি নিড়ান কিছুই করিতে छ्ग्न न । আমন ধান্যের ক্ষেত্রের জল সরিয়া গেলে ভিজা থাকিতে থাকিতে তন্মধ্যে এই বীজ বপন করা যাইতে পারে। ধান্য পাক হইলে কৰ্ত্তন করিয়া লইবার পর সরিষার গাছ ক্ষেত্রে বৰ্দ্ধিত হয়। ফাস্তুনের শেষ হইতে চৈত্র মাস পৰ্য্যন্ত পাক হইৰার সময়। পাক হইলে রক্ত সরিষার মত কৰ্ত্তন ও মর্দন করিয়া লইবে । ইহার গাছ তিন চারি হাত ऐफ्र शंश्च । এক বিঘা। ভূমিতে বার মণের অধিক উৎপন্ন হয় না। এক মণে বার সের তৈল হয়। ইহার তৈল সৰ্ব্বাপেক্ষা উত্তম। ইহার পুষ্প হইলে যদি রৌদ্র না হইয়া ক্ৰমে দুই তিন দিবস আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে বিশেষ হানি হয়। অধিক পরিমাণে নীহার পতন হইলে বিশেষ উপকার দর্শে । ক্ষুমা অথবা মসীনা। তিসী অথবা টিসী। রক্তসরিষা যে প্রকার ভূমিতে উৎপন্ন হয়, সেই প্রকার ভূমিতে ইহাও { উৎপন্ন হইয়া থাকে। ক্ষেত্রে সার দেওয়া আবশ্যক। ফরিদপুর, যশোহর, কৃষ্ণনগর, রাজসাহী,পাবনা, ময়মনসিংহ প্ৰভৃতি জেলাতে ইহার অধিক আবাদ হয়। কাৰ্ত্তিক মাস বপনের সময়। অগ্রহায়ণের প্রথমাৰ্দ্ধেও বপন করা যাইতে পারে। এক বিঘা। ভূমিতে দুই সের বীজের অধিক বপন করিতে হয় না। রক্ত সরিষা বপনের নিমিত্ত যে যে কাৰ্য্য করিতে হয়, ইহার বপন নিমিত্ত তন্দ্রপ সকল কাৰ্য্য করিয়া বীজ বপন করিবে। বিশেষ এই, নিড়ান আবশ্যক হয় না । অধিক ঘাস হইলে এক বার নিড়াইতে পারিলে উপকার हे । ফাৰ্ত্তন ও চৈত্র মাস পাক হইবার সময়। পাক হইলে রক্তসরিষার মত কৰ্ত্তন ও মর্দন করিয়া লইবে । ক্ষেত্রে গাছ অধিক শুষ্ক হইলে ফল ফাটিয়া বীজ