পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

As কৃষিতত্ত্ব । কিন্তু দোয়াস ও পলিমৃত্তিক প্রশস্ত। গোশালার নিকটস্থ छूभिल्ड cब्रां** করিলে অতি উত্তম হয়। যে মৃত্তিকাতে বালির ভাগ অধিক, সেই স্থানে অধিক পরিমাণে সারা দিয়া রোপণ করা উচিত । ইহা প্ৰায় সকল জেলাতেই উৎপন্ন হয়, কেবল যে যে জেলায় বর্ষার সময় বাটীর উপর জল উঠে, সেই সকল স্থানে হয় না । বৈশাখ মাস হইতে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত ও বীজ রোপণ করা যাইতে পারে কিন্তু ভাদ্র আশ্বিনই প্ৰশস্ত সময়, এই সময়ের রোপিত বীজের গাছে শীত সময়ে অধিক ফল উৎপন্ন হয়। কেবল এক মাসে এক স্থানে রোপণ করিয়া নিশ্চিন্ত থাকা উচিত নয়। দুই এক মাস অগ্রপশ্চাৎ ক্ৰমে চারিবার। ইহার চারা জন্মাইলে এক বৎসর ফল ভোগ করা যাইতে পারে। গাছ বড় হইলে সৰ্ব্বদা রৌদ্রের উত্তাপ পাইতে পারে, এমন স্থান বিবেচনা করিয়া বাটীর নিকট কি কোন গৃহের নিকট এক হস্ত ব্যাস এক হস্ত, গভীর একটা গৰ্ত্ত খনন করিয়া সেই স্থানের মৃত্তিকার অবস্থা বিবেচনা করিয়া সারাদি সহ মৃত্তিকা দ্বারা ঐ গৰ্ত্ত পূরণ করিয়া সপ্তাহ পৰ্যন্ত প্রতি দিবস অধিক পরিমাণে জল দিবে, তৎপরে তিন চারি দিবস আর জল দিবে না। গৰ্ত্তের মৃত্তিক শুদ্ধাবস্থ হইলে হস্ত অথবা অস্ত্ৰ দ্বারা পুনৰ্ব্বার মৃত্তিক খনন করিয়া চূৰ্ণ করিতে হইবে এবং হস্ত দ্বারা চাপিয়া সমতল করণান্তর কিঞ্চিৎ ব্যবধানে তিন চারিটী বীজ রোপণ করিবে, - অৰ্দ্ধ ইঞ্চি। মৃত্তিকার নীচে যেন বীজ প্রবিষ্ট না হয়। অঙ্গুরোদগম হইবার পূর্ব পৰ্য্যন্ত প্ৰত্যহ সন্ধ্যার সময় অতি | অল্প অল্প জল দেওয়া কৰ্ত্তব্য। অন্ধুরোদগত হইয়া চারা কিঞ্চিৎ বড় হইলে আশ্রয় করিয়া উঠিবার জন্য পাঁচ ছয়টা কাঠী পুতিয়া দিবে। তিন চারি হাত উচ্চ না হওয়া পৰ্য্যন্ত মধ্যে মধ্যে জল দিতে হইবে, তৎপরে মৃত্তিকা সরস থাকিলে জল দিতে হয় না। মৃঞ্জিকা নীরস হইলে জল দেওয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য । গাছ দেড় ফুট উচ্চ হইবার পূর্বে ঘন বৃষ্টি হইলে নষ্ট হয়। আর এমত অবস্থা ঘটিলে। আচ্ছাদন দিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য। এ কারণ ইতর লোকেরা গৃহের বহির্ভাগে অথচ চালের নীচে বীজ রোপণ করে। গৃহের নিকট চারা জন্মিলে চালে উঠিৱার উপায় স্বরূপ কাঠী পুতিয়া