পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

് উপক্রমণিকা । মুক্তিকবিশিষ্ট হইতেছে। এই প্রকারে কখন আলো কখন অন্ধকার, কখন শীত কখন গ্রীষ্ম, কখন শুষ্কতা কখন আর্দ্রতার আবির্ভাব হইয় আসিতেছে। এবং প্রতি ঘণ্টায় উত্তাপ এমত পরিবর্তিত হইতেছে যে তাহা আমাদিগের ইন্দ্রিয়ের অগোচর । আমাদিগের দেহের বিষয়ে মনোনিবেশ করিয়া দেখিলে অনুমান হয় যে নানা প্রকার পুরাতন পরমাণ, সকল বহির্গত হইয় তাহাদিগের পরিবর্তে নুতন পরমাণু সঞ্চার হইয়া শরীরকে বুদ্ধিশালি করিতেছে। অমাদিগের আহারীয় দ্রব্য ধাতু উদ্ভিজ্জ এবং মাংস, এই তিন প্রকার বস্তু উদরন্থ করাতে ইহার পরিবfৰ্ত্তত হইয়: রক্তোৎপত্তি করিতেছে, এবং তাহী ঘৰ্ম্ম ও প্রস্রব রূপে পরিণত হইয়া শরীর হইতে নিগত হইতেছে, এবং পুনশ্চ রক্ত আসিয়া সৰ্ব্ব স্থান পরিপূরিত করিতেছে। নিয়ত এই রূপ হওয়াতে মমৃষ্যের দেহ ১০। ১২ বৎসরের মধ্যে এমত পরিবৰ্ত্তিত ইয়া যায় যে তাতাকে পরিচিত করণের কোন চিকু থাকে না । এইরূপ সকলই বুদ্ধি পাইতেছে, এবং অবশেষে কালগ্রাসে পতিত হইয়। বিনষ্ট হইতেছে। অতএব ক্রমাগত পরিবর্তিত হইয়ও প্রাকৃতিক অনিবাৰ্য্য নিয়মে সকল বস্তু এমত আবদ্ধ আছে মেকোন প্রকারে তাহার অন্যথা হইবার সম্ভাবন নাই এবং ইহাকে অবলম্বন করিয়া সকল বস্তু পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভর করত স্বীয়ই কার্য সম্পন্ন করিতেছে ও তৎসমুদয় একত্র করিয়া অবলোকন করিলে বিবেচনা হইতে পারে ষে ইহাতে কেবল জগতের উপকার সংসাধন হইতেছে। যে সকল নিয়ম সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের কারণ, তাহাদিগকে