পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিকা । ১ওঁ হইয়া অসহ যাতনায় কাতর হয় তখন পৰ্বতাকার স্বর্ণরাশি প্রদাণ করিলে যে উপকার বোধ না হয় এক সামান্য উদ্ভিজ্জের গুঁড়া দ্বারা তাহাদিগের সেই যাতনা নিরাকরণ পূর্বক ততোধিক উপকার বোধ হইতে পারে এবং তাতীত আমাদিগের আহারীয় বস্তু শয্যা ও গৃহনির্মাণ করিবার নানা প্রকার দ্রব্য, ইত্যাদি দেহযাত্র। নিৰ্ব্বাহের যে সকল প্রয়োজনীয় তৎসমুদয় উদ্ভিজ্জ হইতে প্রস্তুত আছে । অতএব যে সকল বস্তু হইতে এত উপকার দশে। তাহাদিগের প্রত্যুপকার করা উচিত। সত্য বটে স্থানেই ভিন্ন ২ প্রকার উদ্ভিজ্জ উৎপত্তি হইবার উপায় স্বভাবতঃ নির্দিষ্ট হইয়াছে, যথা, বন মধ্যে মনুষ্যদিগের কোন সাকুণয্য ব্যতিরেকে যেরূপে কৃষিকাৰ্য নিৰ্ব্বাহিত হইয়া থাকে ত হ নিরীক্ষণ করিলেই ইহা সপ্রমাণ হইতে পারে। আমর পরম্পরায় অবগত আছি যে কোন২ রাজ্যমধ্যে কেহ এবিষয়ে হস্তপণ করেন না, যেহেতু তথাকার বনমধ্যে স্বাভাবিক কৃষিকায্য নিৰ্বাহ হওয়াতে তদ্বারা সেই স্থানের মনুষ্যদিগের উপজীবিক নিৰ্বাহ হইয়া থাকে, যথা ব্রহ্মদেশ। পরন্তু অনায়াসে তাহাদিগের সমুদয়কে একত্ৰ পাইবার জন্য কৃষিকাৰ্য্য করা মহুষ্যদিগের বিশেষ প্রয়োজনীয় হইয়াছে। উক্ত প্রকার উদ্ভিজ্জ হইতে জন্তুদিগের যেরূপ উপকার দশে উদ্বিবংশ যৎকিঞ্চিৎ লিখিয়া এক্ষণে তদ্বারা যে প্রকার মনের মুখ ও শারীরিক সুস্থত। জন্মে তদ্বিষয় লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম। এই পৃথিবীতে রাজসেবা, বাণিজ্য, এবং কৃষিকাৰ্য্য এই তিন উপায় দ্বারা মনুষ্যদিগের দেহযাত্রা