পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 উপক্রমণিকা । নিৰ্বাহ হইতেছে। কিন্তু কৃষিকাৰ্য পূৰ্বোজ দুই কার্যের আমূল হইয়াছে, কারণ কৃষিকায্যেtৎপন্ন দ্রব্য সকল তিন অংশে বিভক্ত হইয়া প্রথমাংশ রাজার রাজস্ব জন্য রক্ষিত হয়, দ্বিতীয়াংশ কৃষক আপনি গ্রহণ করে, অবশিষ্টাংশ বাণিজ্য কার্যে নিয়োজিত হইয় থাকে। পৃথিবীর প্রথমবস্থায় যখন রাজকাৰ্য্য এবং বাণিজ্যের কোন সুত্র ছিল না, তখন উদর পরিপোষণ জন্য সকলেই কৃষিকায্যে নিযুক্ত ছিলেন। পরে অন্যান্য কায্যের অবশ্যক হইলে কেহ ২ তাহাতে নিযুক্ত হইলেন বটে, কিন্তু কৃষকেরা সকলকেই প্রতিপালন করিয়া থাকে অতএব যিনি যে কায্যে প্ররক্ত থাকুন, কৃষকের সাহায্য অভিলাষ করেন না এমত কেহ নাই, অতএব সকলকারই ইহাতে বিশেষ মনোযোগি হওয়া অতি কৰ্ত্তব্য ! অনেকেই আপনাকে মুখী জ্ঞান করিয়া কৃষিকায্যের পরিশ্রমে প্রবৃত্ত হইতে অস্বীকার পাইতে পারেন। কিন্তু সুখপদার্থ কি ধনেতে উপার্জিত হইয় থাকে? অতি উত্তম বসন ভূষণে বিভূষিত হইলেই কি মুখী হয় ? অথবা অলসের বশতাপন্ন হইয় অট্টালিকোপরি তাকিয়ার উপর দেহু হেলন পূর্বক নিষ্কৰ্ম্মান্বিত হইয়। বসিয়া থাকিলে কি সুখী হইতে পারে ? কখনই নহে । কারণ এতাদৃশাবস্থায় মহুষ্যকে বাহত সৌন্দৰ্য্য দেখাইতে পারে বটে, কিন্তু আন্তরিক দুঃখানল তপস্থার দেহকে অহরহ দগ্ধ করিয়া থাকে, যেহেতু মনের সন্তোষ না হইলে মনুষ্য কখন সুখী হইতে পারে না। ধনো পার্জনে কেবল আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি হইয়া থাকে, কোন কালে তাহা নিবৃত্ত