পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఢ উপক্রমণিক । ব্যবস্থা পূৰ্বাপর চলিত আছে, তাহাই এদেশীয় কৃষিকার্যের আমূল হইয়াছে। কিন্তু অন্যদেশীয় কোন চার অনিয়া এই দেশে রোপণ করিবার ব্যবস্থা কেহ জ্ঞাত নহে, এবং কি প্রকারে কৃষিকায্যের উন্নতি হইতে পারে এমত চেষ্টা কাহারও নাই। প্রতিবৎসর বর্ষণকালে গঙ্গার জল প্লাবিত হইবায় উহার পলী পতিত হওয়াতে ভূমি এমত উর্বর হয় যে সার দিবীর আর প্রয়োজন থাকেন, এই জন্য এতদেশীয় লোকের ভূমিতে সার দিবার কৌশল বিষয়ে চির-অজ্ঞই রহিয়াছে। কেবল স্বাভাবিক বদভ্যান্যতার উপর নির্ভর করিয়া লোকদিগের স্থিরকল্প আছে যে বীজ বপন করিলেই চারা উৎপত্তি হইতে পরিবেক । ইদানীং শ্ৰীলশ্ৰীযুত কোম্পানি বাহাদুরের বটানিক উদ্যান সংস্থাপন হওয়াতে কৃষিকার্যের কৌশল বিষয়ে কোন ২ ব্যক্তির ব্যুৎপত্তি জন্মিয়াছে। যদি এই দেশে কৃষিবিদ্যার শিক্ষা প্রচলিত হয় তবে ভারতভূমি শস্যশালিনী হইয়া রত্বশালিনী হইবেন। আমাদিগের এদেশীয় ভূমি সম্পূর্ণরূপে কৃষিকার্য্যের যোগ্য দেখিয়া মনোমধ্যে এরূপ আক্ষেপের উদয় হইতেছে যে কৃষিকাৰ্য্য নিৰ্বাহ বিষয়ে কোন ব্যক্তিই নিপুণ নহে। নীলকর সাহেবের এই দেশে আসিয়া নীল রোপণ করণানন্তর কিছু দিন পরে দুই তিন লক্ষ টাকা উপার্জন করিয়া স্বদেশে পুনর্গমন করেন, কিন্তু আমরা এই দেশীয় লোক হইয়া কিছুই কারতে পারিলাম না, কি আশ্চৰ্য্য ! হিন্দুদিগের মধ্যে কৃষিকায্যের এরূপ ব্যবস্থাহীন অবস্থায় কিছু স্বতন নিয়ম অবলম্বন করিলেই এই কাৰ্য উত্তমরূপ নিৰ্বাহ হইতে পরিবেক এই জন্য