পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

该射 কৃষিদপৰ্শ পত্র সকল ভাসিয়া থাকিতে পারে। যদি কোন বৈদেশিক জলজ এই দেশে অনিয়া রোপণ করিতে হয়, তবে তাহার জন্য এই নিয়ম প্রকাশ করিতেছি। ইহার বীজ পুষ্করিমীর মধ্যে বিস্তীর্ণ করিয়া নিক্ষেপ করলে অক্ষরিত হইবার সন্দেহ থাকে, কারণ জলমধ্যে যেরূপ উত্তাপ আছে তাহা ঐ বীজ অঙ্কুরিত করিবার সমযোগ্য হয় কিনা তাহা সন্দেহের বিষয়, এই জন্য এক গামলায় বালি এবং সারমৃত্তিক সমভাগে মিশ্রিত করিয়া পরিপূর্ণ করিবেক । পরে ঐ বীজ সকল ইহাতে পুতিয়া অন্য এক গামলার জলে ডুবাইয়া রাখিবেক। যদি অধিক উত্তাপ অবশ্যক হয় তবে জল কমাইয় দিবে এবং অলপ উত্তাপ আবশ্যক হইলে জল অধিক ঢালিয়া দিবে, এই প্রকার করিলে ঐ বীজ অঙ্করিত হইবেক। পরে চারা বুদ্ধিশীল হইলে পুষ্করিণী মধ্যে এক ঢিরী করিয়া তাহতে পুতিয়া দিবে, ইহাতে আর কোন ব্যবস্থা আবশ্যক হইবেক না, কেবল প্রাগুক্তমতে জলের পরিমাণ বিবেচনা করিতে হইবেক, এইরূপে বিক্টোরিয়া রিজিয়ার বীজ রোপণ করিতে হয়। জলজের ন্যায় তরুজের প্রতি কোন ব্যবস্থা আবশ্যক হয় না, কারণ তথায় কৃষকের হস্তের কোন কৰ্ম্ম নিৰ্বাহ হইতে পারে না । ইহার স্বভাবতঃ তরুর কাণ্ড এবং শাখার উপরে জন্মিয় থাকে। যে পর্য্যস্ত ঐ বৃক্ষের শোষণ শক্তি নহয়, তদবধি বায়ু সংযোগে যে রস প্রাপ্ত হয় তাহাতেই বৃদ্ধি পায়। যদি কোন বৈদেশিক তরুজকে আনিয়; এইদেশে রোপণ করিতে হয় তবে বীজ বপন করিতে হইলে কোন ব্লক্ষের শাখার