পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিদপণ । ఫి ভিন্ন ২ উদ্ভিজ্জ প্রতি ব্যবহার করিলে নিয়মিত রূপ হইতে পারে তাহ আমরা নিশ্চয় বলিতে পারি না, তথাপি আমিঃদের মনে অনুসন্ধানম্বারা যাহ উপস্থিত হইয়াছে তাঙ্ক। যৎকিঞ্চিং লিখিতেছি। প্রথমতঃ, উদ্ভিজ্জদিগের সমুদয় যন্ত্র স্বীয় ২ কৰ্ম্মে প্ররক্ত করিবার জন্য উত্তাপ অণবশ্যক করে, কিন্তু ইহা সমভাগে থাকিলে ঐ যন্ত্র সকল বিশ্রাম না পাইয় - এমত ক্লাস্ত হয় যে তাহাদিগের মধ্যদিয়া রসের চলাচল রুদ্ধ হওয়াতে ব্লক্ষের হানি হইতে পারে। পূৰ্বোত্ত বিঘ্ন নিবারণ নিমিত্ত শীতলতা প্রয়োজন বিধায় নিশাগমে এবং হিম ঋতুর সমাগমে উত্তাপের হ্রাস হয়, এবং পুনশ্চ দিবাভাগে ও অন্য ঋতুতে তাহা পুৰ্বমত প্রবল হয় । এই ব্যবস্থা উদ্ভিজ্জদিগের জীবনোপযোগি ক্রিয়ার সহিত সম্মিলন পূর্বক নিৰ্দ্ধারিত করা আছে, দিবণভাগে ইহাদিগের সমুদয় রস পরিপাক হইতে থাকে এবং তাহার কিয়দংশ বাষ্প স্বরূপ হইয়া পত্র হইতে বহির্গত হয় কিন্তু রজনীযোগে তাদৃশ উত্তেজনা না থাকতে মূলদ্বারা রস আকর্ষণে এবং নিশার শিশির পাতে সৰ্বাংশে পূর্ণ হইয়া থাকে সুতরাং প্রভাতে দিবাভাগের ন্যায় রস সংযোগ প্রযুক্ত ক্ষীণতা আর থাকে না, ঋতু পরিবর্তন হওয়াতে ইহাদিগের প্রতিও সেইরূপ গুণ প্রকাশ করে । এভদেশীয় উত্তাপের বিষয় বিবেচনা করিতে হইলে ইহা নিশ্চয় বোধ হইবে যে শীত, গ্রীষ্ম, এবং বর্ষ এই তিন ঋতুতে তিন প্রকার উত্তাপ হইয়া থাকে এবং তদনুসারে উদ্ভিজ্জ সকল তিন প্রকারে উৎপন্ন হয় যথা, গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ