পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

感é কুসিদপণ | ফাগুন অবধি জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত তরমুজ, ফুটি, শশা ইত্যাদি কতিপয় উদ্ভিজ্জ জন্মিয় থাকে কিন্তু ইহুদিগকে অন্য ঋতুতে রোপণ করিলে কদাচ উৎপন্ন হইতে পারে না, কারণ ইহাদিগের বীজ অঙ্কুরিত করিবার জন্য যেরূপ উত্তাপ আবশ্যক তাঙ্গ বর্ষা কিম্বা শীত ঋতুতে কদাচ পাওয়া যাইতে পারে না। এই জন্য যদি ইহাদিগের বীজ এই দুই সময়ে রোপণ করা যায় তবে পচিয়া নষ্ট হইবার সম্ভাবনা, এবং বর্ষার উত্তাপে যাহারা উৎপন্ন হইয়া থাকে তাহাদিগের জন্য গ্রীষ্মের কিম্বা শীতের উত্তাপ কখন উপযোগী হইতে পারে না, যথা, ইক্ষু। ইহুদিগকে পূৰ্বত্ত্বে প্রস্তুত করিবার জন্য গ্ৰীশ্নের অবসানে রোপণ করিয়া থাকে, কিন্তু অধিক জল সেচনের আবশ্যক হয় নতুব। প্রচণ্ড রৌদ্রে সমুদয় শুষ্ক হইয়া যায়। শীতের উত্তাপে নানা প্রকার বৈদেশিক এবং এতদেশীয় বনজ সকল উৎপন্ন হইয় থাকে। তাহাদিগকে অন্য দুই কালে রোপণ করিলে পচিয়! কিম্ব শুষ্ক হইয়া যায়, অতএব কোন চারা রোপণ করিবার সময়ে এই তিনের মধ্যে কোন উত্তাপ তাহার যোগ্য হইতে পরিবেক, তাহ বিবেচনা করা কৃষকের অতিকৰ্ত্তব্য । গ্রীষ্ম আসিয়া উপস্থিত হইলে সূৰ্য্য দেদীপ্যমান হইয়। তেজে বর্ষণ পূৰ্ব্বক পৃথিবীকে নীরস করেন তাহাতে উদ্ভিজ্জগণ মধ্যে উৰ্দ্ধভাগে আত্যন্তিক রসাকৃষ্ট হইবাতে উঠাদিগের পত্র হইতে ঘৰ্ম্মস্বরূপ রস বহির্গত হইতে থাকে, তাতাতে মূলের শোষণ-শক্তি বুদ্ধি হইয়া তাহাতে অধিক রস পৃথিবী হইতে আকৃষ্ট করে এই জন্য মূলে জল দেওয়া অবশ্যক ; কিন্তু স্বভাবত দক্ষিণ বায়ু সঞ্চা