আমার লাঠির ডগায় একটা ছুরি বেঁধে আঁকশি করা হলঃ নিতাই তাই দিয়ে গোটাকতক ফুল পাড়লে, কৃষ্ণকলি মাটি থেকে কুড়িয়ে নিলে।
ফুল-দুব্বো নিয়ে সে চলে যাবার উপক্রম করছে, আমি তাকে বললাম, কৃষ্ণকলি, বিস্কুট খাবে?
—উঁহু।
—মাখন দেওয়া পাঁউরুটি আর মিষ্টি কুলের আচার?
কৃষ্ণকলির মুখ দেখে মনে হল তার রুচি আছে কিন্তু সংস্কারে বাধছে। বললে, আজ খেতে নেই, বিশকম্মা পূজো। সোঁসা আছে?
—আছে বোধ হয়। নিতাই দেখ তো, বাড়িতে শসা আছে কিনা।
শসা পবিত্র ফল, তাতে কৃষ্ণকলির আপত্তি নেই। নিতাই দুটো শসা এনে আলগোছে তার আঁচলে দিলে। আমি বললুম, কৃষ্ণকলি, তুমি এই অল্প বয়সে বিয়ে করে ফেলেছ, টের পেলে পুলিসে যে তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে।
—ইশ, নিয়ে গেলেই হল কিনা! আমি তো বে করি নি, বে করেছে রেমো। সেই তো মন্ত্র পড়লে, আমি চুপটি করে বসেছিনু। রেমোর বাবার গায়ে খুব জোর, বলেছে পুলিস এলে ভোমর ঘুরিয়ে তাদের পেট ছেঁদা করে দেবে।
—রেমো বুঝি তোমার বর?
কৃষ্ণকলি ওপর নীচে মাথা নাড়লে।