সহসা তাঁর গর্ভস্থ পুত্রের গুরুগম্ভীর স্বর শোনা গেল—ভো অজাত অপোগণ্ডগণ, শ্রুয়তাম্।
তণ্ডুলভাণ্ডবাসী মূষিকশাবকের ন্যায় কিচকিচকণ্ঠে সহস্র সহস্র ভ্রূণ উত্তর দিলে—হাঁ হাঁ আমরা শুনছি।
—বিশ্বের অপোগণ্ড এক হও।
—এক হব।
— সকলে আরাব উত্তোলন কর—প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ কোনও দেবতা মানব না।
—মানব না।
— পিতা মাতা গুরু কারও শাসন মানব না।
—মানব না।
—গুরুকে আর ডরাব না, গুরুর গরু চরাব না। গুরুকুলে নাহি রব, না পড়ে পণ্ডিত হব।
—না পড়ে পণ্ডিত হব।
—তবে কাকে মানবে, কার আজ্ঞায় চলবে?
— তাই তো, কাকে মানব?
—আদিবিদ্রোহী মহান্ ত্রিশঙ্কুকে, যিনি ঊর্ধ্বপাদ অধঃশিরা হয়ে রাশিচক্রের বহির্দেশে বিদ্যমান রয়েছেন।
— মহান, ত্রিশঙ্কু বিদ্যতাম্ অন্য গুরু, ম্রিয়তাম্!
— ত্রিশঙ্কুর জন্য যিনি আকাশে নূতন স্বর্গলোক সৃষ্টি করেছেন সেই বশিষ্ঠশত্রু বিশ্বামিত্রকেও ধন্যবাদ দাও।
৯৪