— বিশ্বামিত্র ধন্যবাদ, বশিষ্ঠাদি নিন্দাবাদ!
— ভ্রাতৃগণ, এই বারে গর্ভকারা থেকে বেরিয়ে এস, স্বাধীন হও, বসুন্ধরা ভোগ কর।
— কিন্তু এখন যে পাঁচ মাসও পূর্ণ হয় নি!
—তর্ক ক’রো না, ত্রিশঙ্কুর আজ্ঞা, ভূমিষ্ঠ হও।
— আমাদের পালন করবে কে, খেতে দেবে কে?
— তর্ক— ক’রো না, তোমাদের স্নেহান্ধ মূর্খ পিতামাতাই পালন করবে। নিষ্ক্রান্ত হও।
ষাট হাজার গভির্ণী আর্তনাদ করে উঠলেন, ষাট হাজার ভ্রূণ গর্ভচ্যুত হল। বহু প্রসূতি প্রাণত্যাগ করলেন।
আর্তনাদ শুনে নৈমিষারণ্যবাসী ঋষিগণ সত্বর গোমতীতীরে উপস্থিত হলেন। তাঁরা দেখলেন, সদ্যোজাত মুনিসন্তানগণ গর্ভনাড়ী ছিন্ন করে ক্লেদাক্ত নগ্ন দেহে চিৎকার ও আস্ফালন করছে। সেই অকালপ্রসূত অকালপক্ক দন্তহীন জটাশ্মশ্রুধারী বালখিল্যগণের নেতা ক্রতুপুত্র ক্রাতব। সে দুই হাত নেড়ে বলছে, ভাই সব, এগিয়ে চল, আমরা এখানকার সমস্ত আশ্রম পড়িয়ে ফেলব, তার পর বশিষ্ঠের আশ্রমে গিয়ে তার কামধেনু হরণ করে দুধ খাব। বিশ্বামিত্র যা পারেন নি আমরা তা পারব।
— দুধ খাব, দুধ খাব! মহান্ ত্রিশঙ্কু বিদ্যতাম্ বশিষ্ঠ ঋষি ম্রিয়তাম্! বালখিল্যা বর্ধন্তাম্, আর সবাই ক্ষীয়ন্তাম্!
৯৫