—বোন না ঢেঁকি, ও তো আমার পিসতুতো ননদ। বিমলি, তুই যা, আমি একটু পরে যাব।
চলে যেতে যেতে বিমলি বললে, দেখিস এখন, আজ মামী তোকে ছেঁচবে। ওরে আমার কেষ্টকলি, শ্যাওড়া গাছের পেতনী!
কৃষ্ণকলি বললে, দাদু,, ও আমায় পেতনী বলবে কেন?
— বলুক গে, ননদরা অমন বলে থাকে, শ্রীরাধার ননদও বলত। এক মেয়ের রূপ আর এক মেয়ে দেখতে পারে না। তোমার বর রেমো তো তোমাকে পেতনী বলে না?
— সেও বলে।
—তুমি রাগ কর না?
— উঁহু, সে হাসতে হাসতে বলে কিনা। আমিও তাকে বলি ভূত পিচেশ হনুমান।
— তোমরা ঝগড়া কর নাকি?
—আমি খুব ঝগড়া করি, চিমটিও কাটি, কিন্তু রেমো রাগে না, শখ, মুখ ভেংচায় আর হাসে।
এমন সময় রামের মা এল। সে অনেক দিন থেকে এ বাড়িতে মড়ি চিঁড়েভাজা দিয়ে আসছে। তার স্বামী মুরারি ছুতোর মিস্ত্রী, ভাল কারিগর, কাঠের ওপর নকশা তোলে। রামের মা কৃষ্ণকলিকে দেখে বললে, ওমা, তুই এখেনে রইছিস, বিমলী যে বললে কেলিন্দী ধিঙ্গী হয়ে হেথা হোথা সেথা চাদ্দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে!