শ্রীগদাধরের সুপারিশের ফলে তিন দিনের মধ্যে বরুণের জায়গায় বটুক সেন বাহাল হল এবং বরুণ দহরমগঞ্জে বদলী হয়ে গেল। তার নতুন পদের নাম-কুক্কুটাণ্ড-বিবর্ধন-পরীক্ষা-সংস্থা-আযুক্তক, অর্থাৎ অফিসার ইন চার্জ হেন্স এগ এনলার্জমেণ্ট এক্সপেরিমেণ্টাল স্টেশন।
নির্দিষ্ট দিনে সরলাক্ষ আর বটুক গদাধরবাবুর বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেল। গদাধর বললেন, এই যে, এস এস। ওরে মাণ্ডবী, এদিকে আয়। এই ইনি হচ্ছেন শ্রীসরলাক্ষ হোম, মুশকিল আসান এক্সপার্ট। আর ইনি ডাক্তার বটুক সেন, আমাদের নতুন বানর-নির্বাসন-অধিকর্তা। খাসা লোক এঁরা।
নমস্কার বিনিময়ের পর বটুক বললে, সার, একটি অপরাধ হয়ে গেছে, আপনাকে আগে খবর দেওয়া উচিত ছিল, বড্ড তাড়াতাড়ি হল কিনা তাই পারি নি, মাপ করবেন। শ্রীমতী খঞ্জনার সঙ্গে কাল আমার শুভ পরিণয় হয়ে গেছে।
বটুকের পিঠ চাপড়ে, শ্রীগদাধর বললেন, জিতা রহো, বাহবা বাহবা, বলিহারি, শাবাশ! আমরা ভারী খুশী হলমে শুনে, কি বলিস মাণ্ডবী? খেতে শত্রু, কর তোমরা, আমি চট করে গিন্নীকে একটা টেলিগ্রাম পাঠিয়ে দিয়ে আসছি।
মাণ্ডবী বটুককে বললে, ধন্য রুচি আপনার, বাবার কাছে ঘুষ খেয়ে সেই শূর্পণখাটাকে বিয়ে করে ফেললেন। খঞ্জনাই
১১৬