ভীমবাবু বললেন, কি সর্বনাশ! যার ফটকের পাশে বেগনী বুগনভিলিয়ার ঝাড় আছে সেই বাড়ি?
—আজ্ঞে হাঁ। বাড়িটার কোনও দোষ আছে?
—নাঃ, দোষ তেমন কিছ, নেই। তোমরা ওখানে উঠেছ তা ভাবি নি।
নিমাই বললে, ভূতে পাওয়া বাড়ি নাকি?
—ভূত কোন্ বাড়িতে নেই? এ বাড়িতেও আছে। ও পাড়াটায় বড্ড চোরের উপদ্রব, এ পাড়ার চাইতে বেশী।
একটু পরে ভীমবাবুর পত্নী একটা বড় ট্রেতে বসিয়ে একটি ধুমায়মান গামলা এবং গোটাকতক বাটি আর চামচ নিয়ে এলেন। ভীমবাবু একটা টেবিল এগিয়ে দিয়ে বললেন, এ কি এনেছ, আতার পায়েস যে! এর মধ্যেই তৈরি করে ফেললে?
গৃহিণী বললেন, আর তো কিছ, নেই, এই দিয়েই ছেলেরা একটু মিষ্টিমুখ করুক।
ভীমবাবু বললেন, সবটাই এনেছ নাকি?
—হ্যাঁ গো হ্যাঁ, তুমি আর লোভ ক’রো না বাপু। ছেলেরা যে পেয়ারা পেড়েছে তাই না হয় একটা খেয়ো। চিদতে না পার তো সেদ্ধ করে দেব।
সুধীর সহাস্যে বললে, সার, আমাদের ওখানে বিস্তর আতা ফলেছে, ইয়া বড় বড়। কাল সকালে পায়েস বানিয়ে আপনাদের দিয়ে যাব।
ভীমবাবু বললেন, না না, অমন কাজটি ক’রো না। আতা আমার সয় না।
১৩১