ভৈরব কুটীরে ফিরে এসে নিমাই বললে, একি, গাছের বড় বড় আতাগুলো গেল কোথায়?
সুধীর বললে, বোধ হয় পাঁড়েজী সদ্দারি করে পেড়ে রেখেছে। ও পাঁড়ে, আতা কি হল?
পাঁড়ে ব্যস্ত হয়ে এসে মাথায় একটু চাপড় মেরে করুণে কণ্ঠে বললে, কি কহবো হুজুর, বহুত ঋমেলা হয়ে গেছে। এক মোটা-সা বুঢ়া বাবু আর এক দূবলা-সা বুঢ়ী মাঈ এসেছিল। বাবু পটপট সব আতা ছিঁড়ে লিলে। আমি মানা করলে খাফা হয়ে বললে, চোপ রহো উল্লু। আমার ডর লাগল, শায়দ কোই বড়া অপসর উপসরকা বাবা উবা হোবে—
সুধীর বললে, হাতে লাল গামছা ছিল?
—জী হাঁ, উসি মে তো বাঁধ কে লিয়ে গেল।
হাসির প্রকোপ একটু কমলে নিমাই বললে, হলধর দত্তর ‘চোরে চোরে’ গল্পর চাইতে মজার!
প্রবোধ বললে, যাক, আমরা ঠকি নি, আতার পায়েস খেয়েছি, পেয়ারাও পেয়েছি। কিন্তু ভীমচন্দ্র সেন মশায়ের জন্য দঃখ হচ্ছে, তাঁর গিন্নী তাঁকে বঞ্চিত করেছেন।
নিমাই বললে, ভাববেন না সার, দিন দুই পরেই আবার বিস্তর আতা পাকবে, তখন পায়েস করে ভীমসেন মশায় আর তাঁর গিন্নীকে খাওয়াব।
১৩৬০
১৩২