পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভবতোষ ঠাকুর

রদ্রাক্ষের মালা গলায় দিন। সাধু মহাত্মার এই হল লক্ষণ।

 ভবতোষ মাথা নাড়লেন।

 বিধু। আচ্ছা, দাড়ি জটা রুদ্রাক্ষ না হয় বাদ দিলেন। গোঁফটা কামিয়ে ফেলুন, গের‍ুয়া সিল্কের ধুতি পঞ্জাবি পরুন, মাথায় গের‍ুয়া পাগড়ি বাঁধুন, কিংবা কানঢাকা টুপি পরুন। তত্ত্বদর্শী স্বামী মহারাজদের বেশ ধারণ করুন।

 ভবতোষ। আমি সাধু মহাত্মা নই, তত্ত্বদর্শীও নই। আমার সাজ যা আছে তাই থাকবে।

 জিতেন। এইবারে বুঝেছি। মক্তপুর‍ুষদের পইতে টিঁকি জটা গের‍ুয়া রদ্রাক্ষ কিছুই দরকার হয় না। কিন্তু আপনাকে তো নাম ধরে ডাকা চলবে না। সবাই আপনাকে ঠাকুর বলে, আমরাও তাই বলব। দোহাই, এতে আপত্তি করবেন না। বলছিলুম কি—আপনি তো জীবন্মক্ত পুর‍ুষ, গৃহে বাস করলেও সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী, আপনার মুখের একটু কথা শোনবার জন্যে জজ ব্যারিস্টার ডাক্তার প্রোফেসার মেয়েপুর‍ুষ সবাই লালায়িত। সবাই জানতে চায়—ইনি কি ব্রহ্মজ্ঞানী পণ্ডিত, না যোগসিদ্ধ মহাপরুষ? পরমহংস, না শধুই পরম ভক্ত? ভগবানের অংশাবতার, না ষোল আনা ভগবান? কি বলব ঠাকুর?

 ভবতোষ। বলবে, ইনি একজন রিটায়ার্ড সবডেপ‍ুটি।

১৩৫