পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকলি

 এই সময় একজন অচেনা লোক ঘরে প্রবেশ করলেন। বয়স আন্দাজ পঁয়তাল্লিশ, ছ ফুট লম্বা, মজবুত গড়ন, মোচড় দেওয়া মোটা কাইজারী গোঁফ। গায়ে কালচে-খাকী মিলিটারী ওভারকোট, পরনে ইজার আছে কি ধুতি আছে বোঝা যায় না, মাথায় পাগড়ির মতন বাঁধা কম্ফর্টার। আগন্তুক ঘরে এসে বাজখাঁই গলায় বললেন, নমস্কার মশাইরা, এখানে আপনাদের সঙ্গে বসে একটু, চা খেতে পারি কি?

 কয়েক জন এক সঙ্গে উত্তর দিলেন, বিলক্ষণ, চা খাবেন তার আবার কথা কি, এ তো চায়েরই দোকান। ওহে কালী-বাবু, এই ভদ্রলোককে চা দাও। আপনাকে তো আগে কখনও দেখি নি, নতুন এসেছেন বুঝি?

 নতুন নয়, দিল্লি আমার খুব চেনা জায়গা, তবে সম্প্রতি বহহু কাল পরে এসেছি। পরনো দিল্লির কেউ কেউ এখনও হয়তো আমার নাম মনে রেখেছেন —— জটাধর বকশী। ও ম্যানেজারমশাই, দয়া করে আমাকে বেশ বড় এক পেয়ালা চা দিন, খুব গরম আর কড়া। একটা মোটা বর্মা চুরুট, দশ খিলি পান, এক ধেবড়া চুন, আর অনেকখানি দোক্তাও দেবেন। হাঁ, তার পর, ভূত প্রেতের কি যেন কথা হচ্ছিল আপনাদের। আমি একট, শুনতে পাই কি? এসব কথায় আমার খুব আগ্রহ আছে।

 একজন উৎসক নতুন শ্রোতা পেয়ে রামতারণবাবু, খুশী হয়ে বললেন, হাঁ হাঁ শুনবেন বইকি। বলছিলাম, ভূত আর

১২