পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জটাধর বকশী

 রামতারণ বললেন, আমি নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ, তোমাদের মতন অখাদ্য খাই না, নিত্য সন্ধ্যা-আহ্নিক করি। ভূতের সাধ্য নেই যে আমার কাছে ঘেঁষে।

 কপিল গুপ্ত বললেন, আচ্ছা জটাধরবাবু, আপনাকে তো একজন চৌকস লোক বলে মনে হচ্ছে, আপনি ভূত দেখেছেন?

 জটাধর বললেন, নিরন্তর দেখছি, ভূত দেখা অতি সহজ।

 —বলেন কি! দয়া করে আমাদের দেখান না।

 রামতারণ বললেন, ওসব বুজরুকি আমার কাছে চলবে না। ভূত প্রেত মানি বটে, একলা অন্ধকারে ভয়ও পাই, কিন্তু জটাধর কি ঘটাধর বাবু, ভূত দেখাতে পারেন এ কথা বিশ্বাস করি না। কলেজে আমি রীতিমত সায়েন্স পড়েছি, ম্যাজিকওয়ালাদের জোচ্চুরিও আমার জানা আছে।

 অট্টহাস্য করে জটাধর বললেন, যদি আপনাকে ভূত দেখাই?

 — দেখাবেন বললেই হল! কবে দেখাবেন? কোথায় দেখাবেন? কখন দেখাবেন?

 — আজই, এখানেই, এখনই দেখাতে পারি।

 কপিল গুপ্ত বললেন, দেখিয়ে ফেলুন মশাই, আর দেরি করবেন না, আমাদের বাড়ি ফেরবার সময় হল। কিন্তু কি দেখাবেন, ভূত না প্রেত?

 রামতারণবাবু, প্রতিবাদ সইতে পারেন না। চটে গিয়ে বললেন, বেশ, এখনই দেখান, ভূত প্রেত বেম্মদত্যি শাঁখচুন্নী

১৫