পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকলি

পরাহ্ণকালে একটি বৃহৎ অশ্বত্থ তর‍ুর তলে সকলে বসেছেন, পুরোহিত ধৌম্য যম-নচিকেতার উপাখ্যান বলছেন। পাঞ্চালীও একটু পশ্চাতে বসে সেই পবিত্র কথা শনছেন। এমন সময় মূর্তিমান বিপদ রূপে জ্বলজ্জট ঋষি উপস্থিত হলেন। তাঁর জটা ও শ্মশ্রু, অগ্নিজ্বালার ন্যায় ভয়ংকর, মুখে ক্রোধে রক্তবর্ণ, চক্ষু বিস্ফারিত ও ভ্র‍ূকুটিকুটিল। হ‍ুংকার করে জ্বলজ্জট বললেন, ওরে রে নারীঘাতক পাপিবৃন্দ, আজ ব্রহ্মশাপে তোমাদের নরকে প্রেরণ করব!

 যধিষ্ঠির কৃতাঞ্জলি হয়ে বললেন, ভগবান, আমরা কোন্ মহাপাপ করেছি?

 জ্বলজ্জট উত্তর দিলেন, তোমরা শরাঘাতে আমার প্রিয়া ভার্যাকে বধ করেছ। ধিক তোমাদের ধনুর্বিদ্যা, একটা বরাহ মারতে গিয়ে ঋষিপত্নীর প্রাণ হবণ করেছ!

 যধিষ্ঠিরাদি পঞ্চভ্রাতা কাতর হয়ে ঋষির চরণে নিপতিত হলেন। পাঞ্চালীও গলবস্ত্র হয়ে যুক্তকরে অশ্রুবর্ষণ করতে লাগলেন।

 যুধিষ্ঠির বললেন, প্রভু, আমরা অজ্ঞাতসারে মহাপাপ করে ফেলেছি। আপনি যে দণ্ড দেবেন, যতই কঠোর হক তাই শিরোধার্য করব।

 দ্রৌপদী এগিয়ে এসে বললেন, মহামুনি, আমার স্বামীদের শরাঘাতে আপনার প্রিয়া ভার্যার প্রাণবিয়োগ হয়েছে, তার দণ্ডস্বরূপ আপনি আমার প্রাণ নিয়ে এদের মার্জনা করুন। মধ্যম

৭০