পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নিকষিত হেম

টেনিস ভলিবল খেলায় নাম করেছিল, স্বাস্থ্যও খুব ভাল ছিল।

 একদিন অখিল আমাকে বললে, সে নিরঞ্জনার সঙ্গে প্রেমে পড়েছে, বিয়ে করতে চায়। কিন্তু অখিলের বিধবা মা ব্রাহ্মণ পত্রবধূ, ঘরে আনতে রাজী নন। নিরঞ্জনার বাপ সর্বেশ্বর তলাপাত্রেরও ঘোর আপত্তি, তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণ কন্যার সঙ্গে বেনে বরের বিবাহ হলে তাদের সন্তান হবে চণ্ডাল, শাস্ত্রে এই কথা আছে।

 আমি অখিলকে বললাম, এক্ষেত্রে সনাতন উপায় যা আছে তাই অবলম্বন কর। নিরঞ্জনা কান্নাকাটি করুক, খাওয়া কমিয়ে দিক, যথাসম্ভব রোগা হয়ে যাক। তুমিও বাড়িতে মুখ হাঁড়ি করে থেকো, চুল রুক্ষ করে রেখো, নামমাত্র খেয়ো, বাকীটা রেস্তোরাঁয় পুষিয়ে নিও। ওরা দুজনে আমার প্রেসক্রিপশন মেনে নিলে, তাতে ফলও হল। অখিলের মা আর নিবঞ্জনার বাপ-মা অগত্যা রাজী হলেন। স্থির হল দশ মাস পরে বিবাহ হবে।

 নিরঞ্জনা কলকাতায় তার কাকার কাছে থেকে কলেজে পড়ত। তার বাপ সর্বেশ্বর তলাপাত্র বোম্বাই সরকারে বড় চাকরি করতেন, মাঝে মাঝে কলকাতায় আসতেন। আসন্ন বিবাহের স্বপ্নে অখিল দিন কতক বেশ মশগুল হয়ে রইল। তার পর একদিন সে আমাকে বললে, দেখ যতীশ, ক দিন থেকে নিরঞ্জনা কেমন যেন গম্ভীর হয়ে আছে, কারণ জানতে চাইলে

৮৫