হরমোন ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, সম্পূর্ণ রূপান্তর হতে বড় জোর আরও ছ মাস লাগবে।
অখিল আকুল হয়ে বললে, না নিরঞ্জনা, তুমি পুরুষ হয়ো না, তা হলে আমি মরব। ট্রিটমেণ্ট বন্ধ করে দাও, বরং ডাক্তারকে বল তিনি এমন ব্যবস্থা করুন যাতে তোমার নারীত্ব রক্ষা পায়।
নিরঞ্জনা বললে, তা হবার জো নেই। আমি পুরুষ হয়েই জন্মেছি, এতদিন লক্ষণগুলো চাপা ছিল, এখন ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে। যদি চিকিৎসা বন্ধ করি তা হলেও আমার পরিবর্তন হতে থাকবে, শুধু দু-তিন বছর দেরি হবে। তার চাইতে চটপট পুরুষ হয়ে যাওয়াই ভাল।
অখিল কাঁদতে কাঁদতে বললে, আমার কি হবে নিরঞ্জনা? তুমি না হয় পুরুষই হয়ে গেলে, তোমার ডাক্তার কি আমাকে মেয়ে করে দিতে পারে না? তা হলেও তো আমাদের মিলন হতে পারবে।
নিরঞ্জনা বললে, পাগল হয়েছ? তুমি তো পুরোপুরি পুরুষ হয়েই জন্মেছ, তার আর নড়চড় হতে পারে না। এই বইখানা দিচ্ছি, ফাউলার্স সেক্স ফ্যাক্টর্স, পড়ে দেখো।
অখিল বললে, তুমি মেয়েই হও আর পুরুষেই হও, তোমার সঙ্গে আমার হৃদয়ের যে সম্পর্ক তার পরিবর্তন হতে পারে না। আমি তোমাকে ছাড়তে পারব না।
নিরঞ্জনা বললে, মন খারাপ ক’রো না। তুমি আর আমি
৮৮