পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હૈં: ५१ *


বৃন্দাবনলীলার পরিসমাপ্তি - ভাগবতে বৃন্দাবনলীলা সম্বন্ধীয় আর কয়েকটা কথা আছে । ১ম, নন্দ এক দিন স্বান করিতে যমুনায় নামিলে, বরুণের অমুচর আসিয়া তাহাকে ধরিয়া লইয়া বরুণালয়ে যায়। কৃষ্ণ সেখানে গিয়া মন্দকে লইয়া আসেন। শাদা কথায় নন্দ এক দিন জলে ডুবিয়াছিলেন, কৃষ্ণ র্তাহাকে উদ্ধৃত করিয়াছিলেন। ২য়, একটা সাপ আসিয়া এক দিন নন্দকে ধরিয়াছিল। কৃষ্ণ সে সৰ্পের মুখ হইতে নন্দকে মুক্ত করিয়া সর্পকে নিহত করিয়াছিলেন। সর্পট বিদ্যাধর । কৃষ্ণস্পর্শে মুক্তি প্রাপ্ত হইয়া স্বস্থানে গমন করে। শাদা কথায় কৃষ্ণ একদিন নন্দকে সৰ্পমুখ হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন । ৩য়, শঙ্খচূড় নামে একটা অসুর আসিয়া ব্রজাঙ্গনাদিগকে ধরিয়া লইয়া যায়। কৃষ্ণ বলরাম তাহার পশ্চাদ্ধাবিত হইয়া ব্রজাঙ্গনাদিগকে মুক্ত করেন এবং শঙ্খচূড়কে বধ করেন। ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে শঙ্খচূড়ের কথা ভিন্নপ্রকার আছে, তাহার কিয়দংশ পূর্বে বলিয়াছি। ৪র্থ, এই তিনটা কথা বিষ্ণুপুরাণে, হরিবংশে বা মহাভারতে নাই। কিন্তু কৃষ্ণকৃত অরিষ্টামুর ও কেশী অসুরের বধবৃত্তান্ত হরিবংশে ও বিষ্ণুপুরাণে আছে এবং মহাভারতে শিশুপালকৃত কৃষ্ণনিন্দায় তাহার প্রসঙ্গও আছে। অরিষ্ট বৃষরূপী এবং কেশী অশ্বরূপী । শিশুপাল ইহাদিগকে বৃষ ও অশ্ব বলিয়াই নির্দেশ করিতেছেন। অতএব প্রথমোক্ত তিনটি বৃত্তাস্ত ভাগবতকারপ্রণীত উপন্যাস বলিয়। উড়াইয়া দিলে অরিষ্টবধ ও কেশিবধকে সেরূপে উড়াইয়। দেওয়া যায় না। বিশেষ এই কেশিবধবৃত্তান্ত অথৰ্ব্বসংহিতায় আছে বলিয়াছি। সেখানে কেশীকে কৃষ্ণকেশী বলা হইয়াছে। কৃষ্ণকেশী অর্থে যার কাল চুল। ঋগ্বেদসংহিতাতেও একটি কেশিযুক্ত আছে, (দশম মণ্ডল, ১৩৬ সূক্ত )। এই কেশী দেব কে, তাহা অনিশ্চিত । ইহার চতুর্থ ও পঞ্চম ঋক্ হইতে এমন বুঝা যায় যে, হয়ত মুনিই কেশী-দেবতা। মুনিগণ লম্বা লম্বী চুল রাখিতেন। ঐ ফুই ঋকে মুনিগণেরই প্রশংসা করা হইতেছে। Muir সাহেবও সেইরূপ বুঝিয়াছেন। কিন্তু প্রথম ঋকে, অন্যপ্রকার বুঝান হইয়াছে। প্রথম ঋকু রমেশ বাবু এইরূপ বাঙ্গালা অনুবাদ করিয়াছেন –