এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
**াঞ্জ ছইল-আর কাছারও বংশের কেহ কোথাও রছিল না।
- এই সঙ্কল্প কারণে আমার খুব সন্দেহ যে, কৃষ্ণের একাধিক মহিষী ছিল না। এমন হইতেও পারে, ছিল । তখনকার এই রীতিই ছিল , পঞ্চ পাণ্ডবের সকলেরই একাধিক মহিী ছিল। আদর্শ ধাৰ্মিক ভীষ্ম, কনিষ্ঠ ভ্রাতার জন্ত কাশিরাজের তিনটি কঙ্কা হরণ করিয়া আনিয়াছিলেন। একাধিক বিবাহ যে কৃষ্ণের অনভিমত এ কথাটাও কোথাও নাই ; আমিও বিচারে কোথাও পাই নাই যে, পুরুষের একাধিক বিবাহ সকল অবস্থাতেই অধৰ্ম্ম । ইহা নিশ্চিত বটে যে, সচরাচর অকারণে পুরুষের একাধিক বিবাহ অধৰ্ম্ম । কিন্তু সকল অবস্থাতে নহে। যাহার পত্নী কুষ্ঠগ্রস্ত বা এরূপ রুগ্ন যে, সে কোন মতেই সংসারধর্মের সহায়তা করিতে পারে না, তাহার ষে দারান্তরপরিগ্রহ পাপ, এমন কথা আমি বুঝিতে পারি না। যাহার স্ত্রী ধৰ্ম্মভ্রষ্টা কুলকলঙ্কিন, সে ষে কেন আদালতে না গিয়া দ্বিতীয়বার দারপরিগ্রহ করিতে পারিবে না, তাহ আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে আসে না । আদালতে যে গৌরববৃদ্ধি হয়, তাহার উদাহরণ আমরা সভ্যতর সমাজে দেখিতে পাইতেছি। যাহার উত্তরাধিকারীর প্রয়োজন, কিন্তু স্ত্রী বন্ধ্য, সে যে কেন দারাস্তর গ্রহণ করিবে না, তা বুঝিতে পারি না । ইউরোপ যিহুদার নিকট শিখিয়াছিল যে, কোন অবস্থাতেই দারাস্তুর গ্রহণ করিতে নাই। যদি ইউরোপের এ কুশিক্ষা ন হইত, তাহা হইলে, বোনাপার্টিকে জসেফাইনের বর্জন রূপ অতি ঘোর নারকী পাতকে পতিত হইতে হইত না ; অষ্টম হেনূরীকে কথায় কথায় পত্নীহত্যা করিতে হইত না । ইউরোপে আজি কালি সভ্যতার উজ্জলালোকে এই কারণে অনেক পত্নীহত্য, পতিহত্য হইতেছে। আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যাহাই বিলাত, তাহাই চমৎকার, পবিত্র, দোষশূন্ত, উৰ্দ্ধাধঃ চতুর্দশ পুরুষের উদ্ধারের কারণ। আমার বিশ্বাস, আমরা যেমন বিলাতের কাছে অনেক শিখিতে পারি, বিলাতও আমাদের কাছে অনেক শিখিতে পারে। তাঁহার মধ্যে এই বিবাহতত্ত্ব একটা কথা ।
কৃষ্ণ একাধিক বিবাহ করিয়াছিলেন কি না, সে বিষয়ে কোন গণনীয় প্রমাণ নাই, ইহ দেখিয়াছি। যদি করিয়া থাকেন, তবে কেন করিয়াছিলেন, তাহারও কোন বিশ্বাসযোগ্য ইতিবৃত্ত নাই। যে যে র্তাহাকে স্তমস্তক মণি উপহার দিল, সে সঙ্গে সঙ্গে অমনি একটি কঙ্কা উপহার দিল, ইহা পিতামহীর উপকথা। আর নরকরাজার ষোল হাজার মেয়ে, ইহা প্রপিতামহীর উপকথা । আমরা শুনিয়া খুলী—বিশ্বাস করিতে পারি না ।