পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* গুঞ্চম খণ্ড : দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ঃ সঞ্জয়যান .۶ ২২৭ BBBB B BDB BBDB BBBB BBBS BBBBB BBB BBS BBS BBBS BB BB BBBBDS পূৰ্ব্বৰু দেবরাজ্য অধিকার করিয়াছেন। ভগবান বৃহস্পতি সমাহিত হইয়া ইন্দ্ৰিয়নিরোধ পূর্বক ব্রহ্মচর্ঘ্যের অম্বষ্ঠান করিয়াছিলেন ; এই নিমিত্ত তিনি দেবগণের আচার্য পদ প্রাপ্ত হইয়াছেন। রুদ্র, আদিত্য, যম, BBBS BBBS BBS BBBS BBBB B BBBBB BB BBB BBBB BBDDDS DBBBBB BBBBBS ব্রহ্মচৰ্য্য, অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠান করিয়া শ্রেষ্ঠত্বলাভ করিয়াছেন।” কৰ্ম্মবাদ কৃষ্ণের পূৰ্ব্বেও প্রচলিত ছিল, কিন্তু সে প্রচলিত মতানুসারে বৈদিক ক্রিয়। কাণ্ডই কৰ্ম্ম । মনুষ্যজীবনের সমস্ত অমুষ্ঠেয় কৰ্ম্ম, যাহাকে পাশ্চাত্যের Duty বলেন—সে অর্থে সে প্রচলিত ধৰ্ম্মে কৰ্ম্ম শব্দ ব্যবহৃত হইত না । গীতাতেই আমরা দেখি কৰ্ম্ম শব্দের পূর্বপ্রচলিত অর্থ পরিবর্তিত হইয়া, যাহা কৰ্ত্তব্য, যাহা অমৃষ্ঠেয়, যাহা Duty, সাধারণতঃ তাহাই কৰ্ম্ম নাম প্রাপ্ত হইয়াছে । আর এইখানে হইতেছে । ভাষাগত বিশেষ প্রভেদ অাছে—কিন্তু মৰ্ম্মার্থ এক । এখানে যিনি বক্তা, গীতাতেও তিনিই প্রকৃত বক্তা এ কথা স্বীকার করা যাইতে পারে। অমুষ্ঠেয় কৰ্ম্মের যথাবিহিত নিৰ্ব্বাহের অর্থাৎ ( ডিউটির সম্পাদনের ) নামান্তর স্বধৰ্ম্মপালন। গীতার প্রথমেই শ্ৰীকৃষ্ণ স্বধৰ্ম্মপালনে অর্জুনকে উপদিষ্ট করিতেছেন। এখানেও কৃষ্ণ সেই স্বধৰ্ম্মপালনের উপদেশ দিতেছেন। যথা, "হে সঞ্চয়! তুমি কি নিমিত্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব প্রভৃতি সকল লোকের ধৰ্ম্ম সবিশেষ জ্ঞাত হইয়াও কৌরবগণের হিতসাধন মানসে পাণ্ডবদিগের নিগ্রহ চেষ্টা করিতেছ? ধৰ্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির বেদঞ্জ, অশ্বমেধ ও রাজস্বয়যজ্ঞের অনুষ্ঠানকৰ্ত্ত । যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী এবং হস্তাশ্বরথ চালনে সুনিপুণ । এক্ষণে যদি পাণ্ডবেরা কৌরবগণের প্রাণহিংসা না করিয়া ভীমসেনকে সাস্তুনা করতঃ রাজ্যলাভের অন্য কোন উপায় অবধারণ করিতে পারেন ; তাহা হইলে ধৰ্ম্মরক্ষা ও পুণ্যকম্মের অনুষ্ঠান হয়। অথবা ইহার যদি ক্ষত্রিয়ধৰ্ম্ম প্রতিপালন পূৰ্ব্বক স্বকৰ্ম্ম সংসাধন করিয়া দুরদৃষ্টবশতঃ মৃত্যুমুথে নিপতিত হন তাহাও প্রশস্ত। বোধ হয়, তুমি সন্ধিসংস্থাপনই শ্রেয়সাধন বিবেচনা করিতেছ ; কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, ক্ষত্রিযুদিগের যুদ্ধে ধৰ্ম্মরক্ষা হয়, কি যুদ্ধ না করিলে ধৰ্ম্মরক্ষা হয় ? ইহার মধ্যে যাহা শ্রেষ্ঠ বলিয়া বিবেচনা করিবে আমি তাহারই অঙ্গুষ্ঠান করিব।” তার পর শ্ৰীকৃষ্ণ চতুৰ্ব্বর্ণের ধৰ্ম্মকথনে প্রবৃত্ত হইলেন । গীতার অষ্টাদশ অধ্যায়ে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু, শূদ্রের যেরূপ ধৰ্ম্ম কথিত হইয়াছে—এখানেও ঠিক সেইরূপ। এইরূপ মহাভারতে অন্যত্রও ভূরি ভূরি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, গীতোক্ত ধৰ্ম্ম, এবং মহাভারতের অন্তত কথিত কৃষ্ণোক্ত ধৰ্ম্ম এক । অতএব গীতোক্ত ধৰ্ম্ম যে কৃষ্ণোক্ত ধৰ্ম্ম—সে ধৰ্ম্ম যে কেবল কৃষ্ণের নামে পরিচিত এমন নহে—যথার্থই কৃষ্ণপ্রণীত ধৰ্ম্ম, ইহা এক প্রকার