পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" ; , *...* পরিচ্ছেদ ঃ জীকৃষ্ণের হস্তিন যাত্রায় প্রস্তাৰ శ్రీ :ਂ אי זיא* কেবল অপ্রাসঙ্গিক এবং অসংলগ্ন এমন নহে, পূৰ্ব্বোক্ত কৃষ্ণবাক্যের সম্পূর্ণ বিরোধী। এই সকল বৃত্তম্ভের কিছু মাত্র প্রসঙ্গ অনুক্রমণিকাধ্যায়ে বা পৰ্ব্বসংগ্রহাধ্যায়ে নাই। বোধ হয়, কোন রসিক লেখক, অস্থরনিপাতন শৌরি এবং স্বরনিপাতনী স্থর, উভয়েরই ভক্ত ; একত্রে উভয় উপাস্তকে দেখিবার জন্য অষ্টপঞ্চাশত্তম অধ্যায়টি প্রক্ষিপ্ত করিয়াছেন। যানসন্ধি-পৰ্ব্বাধ্যায়ে এই গেল কৃষ্ণ সম্বন্ধীয় প্রথম প্রসঙ্গ। দ্বিতীয় প্রসঙ্গ, সপ্তষষ্টিতম হইতে সপ্ততিতম পৰ্য্যস্ত চারি অধ্যায়ে । এখানে সঞ্জয় ধৃতরাষ্ট্রের জিজ্ঞাস মতে কৃষ্ণের মহিম কীৰ্ত্তম করিতেছেন। সঞ্জয় এখানে পুৰ্ব্বে যাহাকে মদ্যপানে উন্মত্ত বলিয়া বর্ণনা করিয়াছিলেন, এক্ষণে র্তাহাকেই জগদীশ্বর বলিয়া বর্ণনা করিতেছেন । বোধ হয় ইহাও প্রক্ষিপ্ত । প্রক্ষিপ্ত হউক না হউক ইহাতে আমাদের কোন প্রয়োজন নাই ! যদি অস্ত কারণে কৃষ্ণের ঈশ্বরত্বে আমাদের বিশ্বাস থাকে, তবে সঞ্জয়বাক্যে আমাদের প্রয়োজন কি ? আর যদি সে বিশ্বাস না থাকে, তবে সঞ্জয়বাক্যে এমন কিছুই নাই যে, তাহার বলে ,আমাদিগের সে বিশ্বাস হইতে পারে । অতএব সঞ্জয়বাক্যের সমালোচনা আমাদের নিম্প্রয়োজনীয়। কৃষ্ণের মানুষ চরিত্রের কোন কথাই তাহাতে আমরা পাই না। তাহাই আমাদের সমালোচ্য । এইখানে যানসন্ধি-পৰ্ব্বাধ্যায় সমাপ্ত হইল । চতুর্থ পরিচ্ছেদ শ্রীকৃষ্ণের হস্তিনা যাত্রার প্রস্তাব শ্ৰীকৃষ্ণ, পূর্বকৃত অঙ্গীকারানুসারে সন্ধি স্থাপনার্থ কৌরবদিগের নিকট যাইতে প্রস্তুত হইলেন । গমনকালে পাণ্ডবেরা ও দ্ৰৌপদী, সকলেই তাহাকে কিছু কিছু বলিলেন । স্ত্রীকৃষ্ণও র্তাহাদিগের কথার উত্তর দিলেন । .এই সকল কথোপকথন অবশ্ব ঐতিহাসিক বলিয়া গ্রহণ করা যায় না। তবে কবি ও ইতিহাসবেত্তা যে সকল কথা কৃষ্ণের মুখে বসাইয়াছেন, তাহার দ্বারা বুঝা যায় যে, কৃষ্ণের কিরূপ পরিচয় তিনি অবগত ছিলেন। ঐ সকল বক্তৃত হইতে আমরা কিছু কিছু উদ্ধত করিব। যুধিষ্ঠিরের কথার উত্তরে কৃষ্ণ এক স্থানে বলিতেছেন, “হে মহারাজ, ব্রহ্মচৰ্য্যাদি ক্ষত্রিয়ের পক্ষে বিধেয় নহে । সমুদায় আশ্রমীরা ক্ষত্রিয়ের ভৈক্ষাচরণ নিষেধ করিয়া 출