*够 शूकझल्नि করিয়া ভাছ এৰফুক্ত করেন। দ্বিতীয় তাহার গ্রন্থ প্রচারের পর, পরবর্তী লেখকেরা আপনাদিগের রচনা পূৰ্ব্ববর্তী লেখকের রচনা মধ্যে প্রক্ষিপ্ত করে। প্রথম কারণে সকল দেশের প্রাচীন ইতিহাস কাল্পনিক ব্যাপারের সংস্পর্শে দূষিত হইয়াছে—মহাভারতেও সেইরূপ খটিয়া থাকিবে । ફ, কিন্তু দ্বিতীয় কারণটি অন্ত দেশের ইতিহাসগ্রন্থে সেরূপ প্রবলত প্রাপ্ত হয় নাই— মহাভারতকেই বিশেষ প্রকারে অধিকার করিয়াছে। তাহার তিনটি কারণ আছে। প্রথম কারণ এই যে, অন্যাস্ক দেশে যখন ঐ সকল প্রাচীন ঐতিহাসিক গ্রন্থ প্রণীত হয়, তখন প্রায়ই সে সকল দেশে গ্রন্থ সকল লিখিত করিবার প্রথা চলিয়াছে। গ্রন্থ লিখিত হইলে, তাহাতে পরবর্তী লেখকের স্বীয় রচনা প্রক্ষিপ্ত করিবার বড় সুবিধা পান ন!— লিখিত গ্রন্থে প্রক্ষিপ্ত রচন। শীঘ্র ধরা পড়ে। কেন না, প্রাচীন একখানা কাপির দ্বারা অন্ত কাপির শুদ্ধাশুদ্ধি নিশ্চিত করা যায়। প্রাচীন ভারতবর্ষে গ্রন্থ সকল প্রণীত হইয়া মুখে মুখে প্রচারিত হইত, লিপিবিদ্যা প্রচলিত হইলে পরেও গ্রন্থ সকল পুৰ্ব্বপ্রথানুসারে গুরুশিল্প-পরম্পর মুখে মুখেই প্রচারিত হইত। তাহাতে প্রক্ষিপ্ত রচনা প্রবেশ করিবার विचद् ध्रुविश्र धर्मैिग्नीझिण । }র ; দ্বিতীয় কারণ এই যে, রোম, গ্রীস বা অন্য কোন দেশে কোন ইতিহাসগ্রন্থ, মহাভারতের জায় জনসমাজে আদির বা গৌরব প্রাপ্ত হয় নাই। সুতরাং ভারতবর্ষীয় লেখকদিগের পক্ষে মহাভারতে স্বীয় রচনা প্রক্ষিপ্ত করিবার যে লোভ ছিল, অন্য কোম দেশীয় লেখকদিগের সেরূপ ঘটে মাই। তৃতীয় কারণ এই যে, অস্ত দেশের লেখকের আপনার যশ বা তাদৃশ অন্য কোন কামনার বশীভূত হইয় গ্রন্থ প্রণয়ন করিতেন। কাজেই আপনার নামে আপনার রচনা প্রচার করাই তাহাদিগের উদেখা ছিল, পরের রচনার মধ্যে আপনার রচনা ডুবাইয়া দিয়া আপনার নাম লোপ করিবার অভিপ্রায় তাহাদের কখনও ঘটিত না । কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাক্ষণের নিঃস্বার্থ ও নিষ্কাম হইয়া রচনা করিতেন। লোকহিত ভিন্ন আপনাদিগের যশ তাহাদিগের অভিপ্রেত ছিল না। অনেক গ্রন্থে তৎপ্রণেতার নামমাত্র নাই। অনেক শ্ৰেষ্ঠ গ্রন্থ এমন আছে যে, কে তাহার প্রণেতা, তাহ আজি পৰ্যন্ত কেহ জানে না। ঈদৃশ নিষ্কাম লেখক, যাহাতে মহাভারতের স্থায় লোকায়ত গ্রস্থের সাহায্যে র্তাহার রচনা লোকমধ্যে বিশেষ প্রকারে প্রচারিত হইয়া লোকহিত সাধন করে, সেই চেষ্টায় আপনার রচনা সকল তাদৃশ গ্রন্থে প্রক্ষিপ্ত করিতেন।
পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
