পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| - - i. * ..., কামীতা ... . . . . . . . . . . ... লইলেন, বনে যাইব । অনেকে অনেক প্রকার বুঝাইলেন। কিন্তু কৃষ্ণ এবার রোগের প্রকৃত ঔষধ প্রয়োগ করিলেন। সেরূপ রোগ নির্ণয় কর আর কাহারও সাধ্য দছে । যুধিষ্ঠিরের প্রকৃত রোগ অহঙ্কার। ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিখায় Pride শব্দ অহঙ্কার শব্দের প্রতিশব্দ। বস্তুতঃ তাহা নহে। অহঙ্কার ও মাৎসর্ঘ্য পৃথক পৃথক বস্তু। “আমি এই সকল করিতেছি, “ইহা অামার,” “এই আমার মুখ, “ইহা অামার দুঃখ,” এইরূপ জ্ঞানই অহঙ্কার । এই যুধিষ্ঠিরের দুঃখের কারণ। আমি এই পাপ করিয়াছি—আমার এই শোক উপস্থিত । আমি লইয়াই সব, অতএব আমি বনে যাইব, ইত্যাদি আত্মাভিমানই যুধিষ্ঠিরের এই কাদাকাটির মূলে আছে। সেই মূলে কুঠারাঘাতপূর্বক যুধিষ্ঠিরকে উদ্ভূক্ত করা, এই ধৰ্ম্মবেত্ত্বশ্রেষ্ঠের উদ্দেশ্ব। এজন্ত তিনি পরুষবাক্যে যুধিষ্ঠিরকে কহিলেন, *আপনার এখনও শত্রু অবশিষ্ট আছে । আপনার শরীরের অভ্যন্তরে যে অহঙ্কাররূপ দুৰ্জয় শত্রু রহিয়াছে, তাহ কি আপনি নিরীক্ষণ করিতেছেন না ?” এই বলিয়া জীকৃষ্ণ, তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা অহঙ্কারকে বিনষ্ট করার সম্বন্ধে একটি রূপক যুধিষ্ঠিরকে শুনাইলেন। তার পর তিনি যুধিষ্ঠিরকে যে অত্যুৎকৃষ্ট জ্ঞানোপদেশ দিলেন, তাহা সবিস্তারে উদ্ভূত করিতেছি। যে নিষ্কামধৰ্ম্ম আমরা গীতায় পড়ি, তাহ এখানেও আছে। এইরূপ অতি মহৎ । ধৰ্ম্মোপদেশেই কৃষ্ণচরিত্র বিশেষ ক্ষুৰ্ত্তি পায় । “হে ধৰ্ম্মরাজ ! ব্যাধি দুই প্রকার, শারীরিক ও মানসিক । ঐ দুই প্রকার ব্যাধি পরস্পরের সাহায্যে পরম্পর সমুৎপন্ন হইয়া থাকে । শরীরে যে ব্যাধি উপস্থিত হয়, তাহারে শারীরিক এবং মনোমধ্যে যে পীড়া উপস্থিত হয়, তাহারে মানসিক ব্যাধি কহে । কফ পিত্ত্ব ও বায়ু এই তিনটি শরীরের গুণ, যখন এই তিন গুণ সমভাবে অবস্থান করে, তখন শরীরকে মুস্থ এবং যখন ঐ গুণত্রয়ের মধ্যে বৈষম্য উপস্থিত হয়, তখনই শরীরকে অমুস্থ বলা যায়। পিত্তের আধিক্য হইলে কফের হ্রাস ও কফের আধিক্য হইলে পিত্তের হ্রাস হইয়া থাকে। শরীরের স্থায় আত্মারও তিনটি গুণ আছে। ঐ তিনটি গুণের নাম সত্ত্ব, রজ ও তম। ঐ গুণত্রয় সমভাবে অবস্থান করিলে আত্মার স্বাস্থ্যলাভ হয়। ঐ গুণত্রয়ের মধ্যে একের আধিক্য হইলে অস্তের হ্রাস হয়। হর্ষ উপস্থিত হইলে শোক এবং শোক উপস্থিত হইলে হর্ষ তিরোহিত DDS DD BBBB BBB BB BB BBBBB BBB BB BBBB BBB B BBBB BBBBD DDD DD