পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# ৫ম,—মহাভারতের কবি এক জন শ্রেষ্ঠ কবি, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। শ্রেষ্ঠ কবিদিগের বর্ণিত চরিত্রগুলির সর্বাংশ পরস্পর সুসঙ্গত হয়। যদি কোথাও তাহার ব্যতিক্রম দেখা যায়, তবে সে অংশ প্রক্ষিপ্ত বলিয়া সন্দেহ করা যাইতে পারে। মনে কর, যদি কোন হস্তলিখিত মহাভারতের কাপিতে দেখি যে, স্থানবিশেষে ভীষ্মের পরদারপরায়ণতা * ভীমের ভীরুতা বর্ণিত হইতেছে, তবে জানিব যে ঐ অংশ প্রক্ষিপ্ত । - ৬ষ্ঠ,-যাহ অপ্রাসঙ্গিক, তাহ প্রক্ষিপ্ত হইলেও হইতে পারে, ন হইলেণ্ড হইতে পারে। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে যদি পূৰ্ব্বোক্ত পাচটি লক্ষণের মধ্যে কোন লক্ষণ দেখিতে পাই, তবে তাহ প্রক্ষিপ্ত বিবেচনা করিবার কারণ আছে । ৭ম,—যদি দুইটি ভিন্ন ভিন্ন বিবরণের মধ্যে একটিকে তৃতীয় লক্ষণের দ্বারা প্রক্ষিপ্ত বোধ হয়, যেটি অন্ত কোন লক্ষণের অন্তর্গত হইবে, সেইটিকেই প্রক্ষিপ্ত বলিয়া পরিত্যাগ করিতে হইবে । এখন এই পৰ্য্যস্ত বুঝান গেল। নির্বাচনপ্রণালী ক্রমশঃ স্পষ্টতর করা যাইবে । is ታ কৃষ্ণচরিত্র একাদশ পরিচ্ছেদ নিৰ্ব্বাচনের ফল মহাভারত পুনঃ পুনঃ পড়িয়া এবং উপরিলিখিত প্রণালীর অনুবর্তী হইয়া বিচারপূর্বক আমি এইটুকু বুঝিয়াছি যে, এই গ্রন্থের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তর আছে। প্রথম, একটি আদিম কঙ্কাল ; তাহাতে পাণ্ডবদিগের জীবনবৃত্ত এবং আনুসঙ্গিক কৃষ্ণকথা ভিন্ন আর কিছুই নাই । ইহ বড় সংক্ষিপ্ত। বোধ হয়, ইহাই সেই চতুৰ্বিবংশতিসহস্রশ্লোকাত্মিক ভারতসংহিতা । তাহার পর আর এক স্তর আছে, তাহ প্রথম স্তর হইতে ভিন্নলক্ষণাক্রান্ত ; অথচ তাহার অংশ সমুদায় এক লক্ষণাক্রান্ত । আমরা দেখিব যে, মহাভারতের কোন কোন অংশের রচনা অতি উদার, বিকৃতিশূন্ত, অতি উচ্চ কবিত্বপূর্ণ। অন্য অংশ অমুদার, কিন্তু পারমার্থিক দার্শনিকতত্ত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধযুক্ত, সুতরাং কাব্যাংশে কিছু বিকৃতিপ্রাপ্ত ; কবিত্বশূন্ত নহে, কিন্তু যে কবিত্ব আছে, সে কবিত্বের প্রধান অংশ অঘটনঘটনকৌশল, তদ্বিষয়ে স্থষ্টিচাতুৰ্য্য। প্রথম শ্রেণীর লক্ষণাক্রান্ত যে সকল অংশ, সেগুলি এক জনের রচনা ; দ্বিতীয় শ্রেণীর লক্ষণবিশিষ্ট যে সকল রচনা, তাহ দ্বিতীয় ব্যক্তির রচনা বলিয়া বোধ হয়। প্রথম