পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"... - ----- .ده ; ... " ، . . . . . . . . " : " : , , , , , ' ৫ সেশ্বর বৈজ্ঞানিকদিগের শেষ ও প্রধান আপত্তির কথা এখনও বলি নাই।" বলেন যে ঈশ্বর আছেন সত্য এবং তিনি স্রষ্ট ও নিয়ন্ত, ইহাও সত্য। रिड जिन गाड़ी কোচমানের মত স্বহস্তে রাশ ধরিয়া বা নৌকার কর্ণধারের মত স্বহস্তে হাল ধরিয়া এই বিশ্বসাসার চালান না। তিনি কতকগুলি আচল নিয়ম সংস্থাপন করিয়া দিয়াছেন, জগৎ उशहरे বশবৰ্ত্তী হইয়া চলিতেছে। এই নিয়মগুলি অচলও বটে, এবং জগতের স্থিতিপক্ষে যথেষ্টও রটে । অতএব ইহার মধ্যে ঈশ্বরের, স্বয়ং হস্তক্ষেপণ করিবার স্থানও নাই ৪ প্রয়োজন নাই। সুতরাং ঈশ্বর মানব-দেহ ধারণ করিয়া যে ভূমণ্ডলে অবতীর্ণ হইবেন, ইহা অঙ্গদ্ধেয় কথা । ঈশ্বর যে কতকগুলি অচল নিয়ম সংস্থাপন করিয়া দিয়াছেন, জগৎ তাহারই বশবৰ্ত্তা হইয়া চলে, এ কথা মানি। সেইগুলি জগতের রক্ষা ও পালন পক্ষে যথেষ্ট, এ কথাও মানি । কিন্তু সেগুলি আছে বলিয়া যে ঈশ্বরের নিজের কোন কাজের স্থান ও প্রয়োজনও নাই, এ কথা কি প্রকারে সিদ্ধ হয়, বুঝিতে পারি না। জগতের কিছুই এমন উন্নত অবস্থায় নাই যে, যিনি সৰ্ব্বশক্তিমান তিনি ইচ্ছা করিলেও তাহার আর উন্নতি হইতে পারে না। জাগতিক ব্যাপার আলোচনা করিয়া, বিজ্ঞানশাস্ত্রের সাহায্যে ইহাই বুঝিতে পারি যে, জগৎ ক্রমে অসম্পূর্ণ ও অপরিণতাবস্থা হইতে সম্পূর্ণ ও পরিণতাবস্থায় আসিতেছে। ইহাই জগতের গতি এবং এই গতিই জগৎকৰ্ত্তার অভিপ্রেত বলিয়া বোধ হয়। তার পর, জগতের বর্তমান অবস্থাতে এমন কিছু দেখি না যে, তাহা হইতে বিবেচনা করিতে পারি যে, জগৎ চরম উন্নতিতে পৌছিয়াছে। এখনও জীবের মুখের অনেক বাকি আছে, উন্নতির বাকি আছে । যদি তাই বাকি আছে, তবে ঈশ্বরের হস্ত-ক্ষেপণের বা কাৰ্য্যের স্থান বা প্রয়োজন নাই কেন ? স্বজন, রক্ষা, পালন, ধ্বংস ভিন্ন জগতের আর একটা নৈসর্গিক কাৰ্য্য আছে,— উন্নতি। মকুন্যের উন্নতির মূল, ধর্মের উন্নতি । . ধৰ্ম্মের উন্নতিও ঐশিক নিয়মে সাধিত হইতে পারে, ইহাও স্বীকার করি। কিন্তু কেবল নিয়মফলে যত দূর তাহার উন্নতি হইতে পারে, ঈশ্বর কোন কালে স্বয়ং অবতীর্ণ হইলে তাহার অধিক উন্নতি সিদ্ধ হইতে পারে ন, এমত বুঝিতে পারি না। এবং এরূপ অধিক উন্নতি যে র্তাহার অভিপ্রেত নহে, তাহাই বা কি প্রকারে বলিব ? আপত্তিকারকের বলেন যে, নৈসর্গিক যে সকল নিয়ম, তাহা ঈশ্বরকৃত হইলেও তাহা অতিক্রমপূর্বক জগতে কোন কাজ হইতে দেখা যায় নাই। এজন্য এ সকল অতিপ্রকৃত ক্রিয়া (Miracle) মানিতে পারি না। ইst হায্যত স্বীকার করি ; তাহার