په ”انسان د ؛ ভার খ্রিষ্টানদিগের উপরই থাকুক। আরও বিষ্ণুর অবতারের মধ্যে মৎস্ত, কুৰ্ম্ম, বরাহ, নৃসিংহ প্রভৃতির এইরূপ কাৰ্য্য ভিন্ন অবতারের উপাদান আর কিছুই নাই। এখন, বুদ্ধিমান পাঠককে ইহা বলা বাহুল্য যে, মৎস্ত, কুৰ্ম্ম, বরাহ, নৃসিংহ প্রভৃতি উপন্যাসের বিষয়ীভূত পশুগণের, ঈশ্বরাবতারতের যথার্থ দাৰি দাওয়া কিছুই নাই। গ্রন্থস্তিরে দেখাইব যে, বিষ্ণুর দশ অবতারের কথাটা অপেক্ষাকৃত আধুনিক, এবং সম্পূর্ণরূপে উপন্যাস-মুলক। সেই উপন্যাসগুলিও কোথা হইতে আসিয়াছে, তাহাও দেখাইব । সত্য বটে এই সকল । অবতার পুরাণে কীৰ্ত্তিত আছে, কিন্তু পুরাণে যে অনেক অলীক উপন্যাস স্থান পাইয়াছে, তাহা বলা বাহুল্য। প্রকৃত বিচারে স্ত্রীকৃষ্ণ ভিন্ন আর কাহাকেও ঈশ্বরের অবতার বলিয়। স্বীকার করা যাইতে পারে না। কৃষ্ণের যে বৃত্তান্তটুকু মৌলিক, তাহার ভিতর অতিপ্রকৃতের কোন সহায়তা নাই। মহাভারত ও পুরাণসকল, প্রক্ষিপ্ত ও আধুনিক নিষ্কৰ্ম্ম ব্রাহ্মণদিগের নিরর্থক রচনায় পরিপূর্ণ, এজন্য অনেক স্থলে কৃষ্ণের অতিপ্রকৃতের সাহায্য গ্রহণ করা উক্ত হইয়াছে। কিন্তু বিচার করিয়া দেখিলে জানা যাইবে যে, সেগুলি মূল গ্রন্থের কোন অংশ নহে। আমি ক্রমে সে বিচারে প্রবৃত্ত হইব, এবং যাহা বলিতেছি তাহা সপ্রমাণ করিব। দেখাইব যে, কৃষ্ণ অতিপ্রকৃত কাৰ্য্যের দ্বারা, বা নৈসর্গিক নিয়মের বিলঙ্ঘন স্বারা, কোন কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন নাই । অতএব সে আপত্তি কৃষ্ণ সম্বন্ধে খাটিৰে না । আমরা যাহা বলিলাম, কেবল তাহ আমাদের মত, এমন নহে । পুরাণকার ঋষিদিগেরও সেই মত, তবে লোকপরম্পরাগত কিম্বদন্তীর সত্যমিথ্যানির্বাচন-পদ্ধতি সে কালে ছিল না বলিয়া অনেক অনৈসর্গিক ঘটনা পুরাণেতিহাসভুক্ত হইয়াছে । বিষ্ণুপুরাণে অাছে,— মচুন্যধৰ্ম্মশীলস্য লীলা সা জগতঃ পতেঃ। অক্সাণ্যনেকহ্মপাণি ধারাতিষু মুঞ্চতি ॥ মনসৈব জগৎহষ্টিং সংহারঞ্চ করোডি ষ । তস্তারিপক্ষক্ষপণে কোইযমুস্তমবিস্তরঃ ॥ তথাপি যো মচুৰ্য্যাণাং ধৰ্ম্মস্তমকুবৰ্ত্ততে । কুৰ্ব্বন বলবতা সন্ধিং হীনৈযুদ্ধং করোত্যসেী ॥
পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
