পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় খণ্ড : চতুর্থ পরিচ্ছেদ : কৈশোরলীলা błą এক হাতে তুলিয়া ধরিয়া রাখিলেন। বৃন্দাবন রক্ষা পাইল। ইন্দ্র হার মারি করুন সঙ্গে সম্বন্ধ ও সন্ধি স্থাপন করিলেন। - * ..., . : মহাভারতে শিশুপালবাক্যে এই গিরিযজ্ঞের কিঞ্চিৎ প্রসঙ্গ মাছে। শিশুপাল । বলিতেছে যে, কৃষ্ণ যে বন্ধীকতুল্য গোবৰ্দ্ধন ধারণ করিয়াছিল, তাই কি একটা বিচিত্র কথা ? কুষ্ণের প্রভূত অন্নব্যঞ্জনভোজন সম্বন্ধেও একটু ব্যঙ্গ আছে। এই পৰ্য্যস্ত। কিন্তু গোবৰ্দ্ধন আজিও বিদ্যমান,—বদীক নয়, পৰ্ব্বত বটে। কৃষ্ণ কি এই পৰ্ব্বত সাত দিন এক হাতে ধরিয়া রাখিয়াছিলেন ? যাহারা তাহাকে ঈশ্বরবিতার বলেন, তাহারা বলিতে পারেন, ঈশ্বরের অসাধ্য কি ? স্বীকার করি—কিন্তু সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাও করি, ঈশ্বরীরতারের পৰ্ব্বতধারণের প্রয়োজন কি ? র্যাহার ইচ্ছা ব্যতীত মেঘ এক ফোটাও বৃষ্টি করিতে সমর্থ হয় না, সাত দিন পাহাড় ধরিয়া বৃষ্টি হইতে বৃন্দাবন রক্ষা করিবার তাহার প্রয়োজন কি ? যাহার ইচ্ছামাত্রে সমস্ত মেঘ বিদূরিত, বৃষ্টি উপশান্ত, এবং আকাশ নিৰ্ম্মল হইতে পারিত, তাহার পর্বত তুলিয়া ধরিয়া সাত দিন খাড়া থাকিবার প্রয়োজন কি ? ইহার উত্তরে কেহ বলিতে পারেন, ইহা ভগবানের লীলা । ইচ্ছাময়ের ইচ্ছা, আমরা ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে বুঝিব কি ? ইহাও সত্য, কিন্তু আগে বুঝিব যে, ইনি ভগবান, তাহার পর গিরিধারণ র্তাহার ইচ্ছাবিস্তারিত লীলা বলিয়। স্বীকার করিব। এখন, ইনি ভগবান, ইহা বুঝিব কি প্রকারে ? ইহার কার্য্য দেখিয়া । যে কার্য্যের অভিপ্রায় বা স্বসঙ্গতি বুঝিতে পারিলাম না, সেই কার্য্যের কৰ্ত্ত ঈশ্বর, এরূপ সিদ্ধান্ত করিতে পারা যায় কি ? না বুঝিয়া কোন সিদ্ধান্তে উপস্থিত হওয়া যায় কি ? যদি তাহ না যায়, তবে অনৈসর্গিক পরিত্যাগের যে নিয়ম আমরা সংস্থাপন করিয়াছি, তাহারই অক্ষুবৰ্ত্তী হইয়া এই গিরিখারণবৃত্তান্তও উপন্যাসমধ্যে গণনা করাই বিধেয় । তবে এতটুকু সত্য থাকিতে পারে যে, কৃষ্ণ গোপগণকে ইন্দ্ৰযজ্ঞ হইতে বিরত করিয়া গিরিযজ্ঞে প্রবৃত্ত করিয়াছিলেন। তার পর বাকি অনৈসর্গিক ব্যাপারটা গোবৰ্দ্ধনের উৎখাত ও পুনঃস্থাপিত অবস্থা অনুসারে গঠিত হইয়াছে । এরূপ কার্যের একটা নিগূঢ় তাৎপৰ্য্যও দেখা যায়। যেমন বুৰিয়াছি, তেমনই বুঝাইতেছি। এই জগতের একই ঈশ্বর। ঈশ্বর ভিন্ন দেবতা নাই। ইন্দ্র বলিয়া কোন দেবতা নাই। ইন্দ ধাতু বর্ষণে, তাহার পর রকৃ প্রত্যয় করিলে ইন্দ্র শব্দ পাওয়া যায়। অর্থ হইল যিনি বর্ষণ করেন। বর্ষণ করে কে ? যিনি সৰ্ব্বকৰ্ত্ত, সৰ্ব্বত্র বিধাতা, তিনিই বৃষ্টি করেন,—বৃষ্টির জন্য এক জন পৃথক বিধাত কল্পনা করা বা বিশ্বাস করা য়ায় না। তবে 變》》