________________
কৈকেয়ী । ৬৩ সম্যক বিভূষিতা হইয়া যথাসুখে বনে গমন করুন। হায়! আমি মৃত্যুর জন্যই তােমার নিকট অঙ্গীকার করিয়াছিলাম --বংশপুষ্প যেরূপ বংশকে দগ্ধ করে সেইরূপ ঐ প্রতিজ্ঞ। আমাকে শীঘ্র দগ্ধ করুক। রাজা নিতান্ত কাতর হইয়া ভূতলে নিপতিত হইলেন। রাম পিতার সংজ্ঞালাভ হইলে মাতা কৌশল্যাকে শান্ত করিবার জন্য পিতাকে পুনঃ পুনঃ অনুরােধ করিলেন এবং মাতাপিতার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিলেন। সীতা তখন শ্বশুর ও শাশুড়ীদিগকে প্রণাম করিলেন। কৌশল্যা প্রাণের বসকে কি বলিয়া বিদায় দিবেন, কতবার আলিঙ্গন করিলেন, কতবার মস্তক আত্মাণ করিলেন, শেষে কাদিতে কাদিতে বলিলেন “মা, রাম আমার বনে যাইতেছে, তুমি পতিব্রতা, তােমাকে কিছুই বলিতে হইবে না, কিন্তু আমার অদৃষ্ট মন্দ। তুমি যেন আমার রামের অযত্ন করিওনা। মা, তুমি আমার কথা সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখিও।” আমরাও বলি বুঝি শাশুড়ী ও বধূর এই কথাবার্তা আমহিলাগণের হৃদয়ে তুলিয়া লইবার সময় আসিয়াছে। কৌশল্যা বলিলেন--“যে স্ত্রীলােক স্বামীর বিপদ কালে স্বামীর সম্মান না করে, সকলে তাহাকে অসতী বলে। অসতী নারীদিগের স্বভাব এই তাহার পূৰ্ব্বে যথেষ্ট সুখ ভােগ করিয়া ও বিপৎকালে অল্পমাত্র দুঃখ পাইয়াই স্বামীর প্রতি দুৰ্ব্বাক্য প্রয়ােগ করে। স্বামীকে পরিত্যাগ করতেও ইহারা কুষ্ঠিত হয় না। কেহই মন্দ