________________
৬৬ । কৈকেয়ী। সুমন্ত্র সংবাদ আনিয়া দিল। পরদিনেই রাজা কৌশল্যার গৃহে রাম রাম বলিতে বলিতে প্রাণত্যাগ করিলেন। কৈকেয়ী আজ বিধবা ! কিন্তু কৈকেয়ীর লজ্জা কোথায় ? অযােধ্যার আনন্দ গেল, অযােধ্যা রাজশূন্য হইল, সকল মহিষী বিধবা হইলেন, কৌশল্যা বৎসহারা গাভীর ন্যায়। সমস্ত উৎসব গেল, প্রজাগণ নাথবিহীন হইয়া হাহাকার করিল, সর্বত্র ক্রন্দনের রােল উঠিল, কিন্তু কৈকেয়ী অচঞ্চল। রামশন্য অযােধ্যারাজ্য এখন আর চলেনা। বশিষ্ঠদেব, ভরতকে আনিতে লােক পাঠাইলেন।। সুন্দর চরিত্র এই ভরতের। ভরত বৈরাগ্যের মূর্তি। যুধাজিন্নগর ভরতের মাতুলালয়। মাতুলালয়ে সংবাদ গেল। ভরত পূৰ্ব্ব হইতেই দুনিমিত্ত দেখিতেছিলেন। দূত সংবাদ দিল “শীঘ্রমাগচ্ছতু পুরীমযাধ্যামবিচারয়” শীঘ্র অবােধ্যায় চলুন, কোন বিচার করিবেন না। ভরত বড়ই ভয় পাইয়াছেন. ভাবিতেছেন “রাজ্ঞাে বা রাঘবস্তাপি দুঃখং কিঞ্চিদুপস্থিত” রাজা বা রাঘবের কি কোন বিপদ ঘটিল? ভরত চিন্তাকুল হৃদয়ে রথে আরােহণ করিলেন-সপ্তম দিনে রথ অযযাধ্যায় উপনীত হইল। ভরত তাড়া তাড়ি রথ হইতে অবতরণ করিলেন, দ্রুতগতি পিতার গৃহে গমন করিলেন—সেখানে পিতাকে দেখিতে না পাইয় কৈকেয়ীর গৃহে গমন করিলেন—প্রবাসি সন্তানের