পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१६3भ उठाक्षT Ο ΣΣ) জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন, কৈসার যাহাতে আর সেনাপতিদের “বারিকে’ গিয়া তাহদের সহিত ভোজনাদি না করেন,-তাহার ব্যবস্থা করিবার জন্য তিনি মহিষীকে অনুরোধ করিতে আসিয়াছেন।--সাম্রাজ্ঞীর সহচরী, বিধবার এই অদ্ভুত আবদার সমর্থন-যোগ্য নহে মনে করিয়া, মহিষীর সহিত র্তাহার দেখা করাইতে সন্মত হইলেন না । তখন সেই বিধবা অশ্রুপূর্ণ নেত্ৰে সাম্রাজ্ঞীর সহচরীকে বলিলেন, “আমার পুত্র ওয়ান্টার “রেজিমেণ্টে” চাকরী করিয়া মাসে পৌনে দুই শত টাকা বেতন পায় । কিন্তু এই টাকার মধ্যে একশত পয়ত্ৰিশ টাকা তাহার পোষাক-পরিচ্ছদ, খোরাকী, ঘর-ভাড়া প্ৰভৃতি বাবদ কাটিয়া লিওয়া হয়। অবশিষ্ট চল্লিশ টাকা, আর যে কুড়ি টাকা আমি তাহাকে মাসিক সাহায্য দান করি, তদ্বারা ওয়ান্টারকে অন্যান্য ব্যয় নিৰ্বাহ করিতে হয় ; চুরুট কিনিতে হয়, গাড়ী ভাড়া দিতে হয়, থিয়েটার প্রভৃতি দেখিতে হয় ; এতদ্ভিন্ন খুচরা খরচ আরও কত আছে। যাহা হউক, এই ষাঠি টাকাতেই তাহার মাসিক ব্যয় কোনও প্রকারে নির্বাহিত হইয়া আসিতেছিল ; কিন্তু যে দিন হইতে কৈসার তাহদের ‘রেজিমেণ্টে” খানা খাইতে আরম্ভ করিলেন, সেই দিন হইতেই সর্বনাশের সূত্ৰপাত হইল ! খানার চাদ পনের টাকা দিতে প্ৰথম বারেই তাহাকে তাহার কোনও বন্ধুর নিকট দুই ‘ক্রাউন” কর্জ করিতে হইল। পরের মাসে কৈসার পুনৰ্বার তাহদের ‘রেজিমেণ্টে” খানা খাইবার নিমন্ত্রণ চাহিয়া পাঠাইলেন! সেবার ওয়াল্টারকে আবার দেনা করিতে হইল। এই দেনা শোধ করিয়া তাহার হাতে যে কয়েকটি টাকা থাকিল,-তাহাতে একমাস চলিবার উপায় নাই। বেচারা দুশ্চিন্তায় ও অপদস্থ হইবার ভয়ে মৃত্যুবৎ হইয়াছিল। শেষে সে উপায়ান্তর না দেখিয়া একটা সুদখোঁর মহাজনের নিকট অনেক সুদে কিছু টাকা কার্জ করিতে বাধ্য হয়। ছয়মাসে সে