পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় Sy G? সম্রাট বিদ্রুপের স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি এই মূল্যবান ংবাদটি কাহার নিকট সংগ্ৰহ করিলেন ?” প্রিন্সেল র্যাজিউইল অসঙ্কোচে বলিলেন, “সকলেরই নিকট ; ক্লাবে, আডিডায়-ইহা ভিন্ন যে অন্য কোনও কথা নাই!” সম্রাট এই স্পষ্টবাক্য শুনিয়া অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন, নীরস স্বরে বলিলেন, “দেখিতেছি আমার নিমন্ত্রিত অতিথিদের উদর পূর্ণ করিয়াই আমার নিস্কৃতি নাই, তাহারা যে পোষাক পরিয়া ভোজ খাইতে আসিবে—সে পোষাকের মূল্যও আমাকে সরবরাহ করিতে হইবে। উত্তম, তাহাই হউক ; তোমার নিধন বন্ধুগণের পরিচ্ছদ নিৰ্ম্মাণের জন্য আমি বিশ হাজার টাকা সাহায্য করিব।”—কৈসার এ সম্বন্ধে আর কোনও উচ্চ বাচ্য না করিয়া অন্য প্রসঙ্গের আলোচনায় প্ৰবৃত্ত হইলেন। যাহা হউক, কৈসারের এই অঙ্গীকার তঁহার সভাসদবর্গের অনেকেরই কৰ্ণগোচর হইয়াছিল। সুতরাং কথাটা সৰ্ব্বসাধারণে প্রচারিত হইতে অধিক বিলম্ব হইল না । সংবাদ-পত্রে কৈসারের দানশীলতার প্রশংসা বিঘোষিত হইল ; এবং এই অঙ্গীকারের জন্য অনেকে তঁহাকে ‘দানশীল উইলিয়াম” খেতাবও প্ৰদান করিল। তাড়িখানায়-(Beer hall) ও ‘মেসে” মহা উৎসাহে তাহার “স্বাস্থ্য পান’ ও চলিতে লাগিল । অনেক দুস্থ কৰ্ম্মচারী এই অঙ্গীকারে আশ্বস্ত হইলেন । পোষাক নিৰ্ম্মাণের ব্যয়ভার সম্রাট স্বয়ং বহন করিবেন, তবে আর চিন্তা কি ?--কিন্তু কাৰ্য্যকালে কৈসার তাহার এ অঙ্গীকার বিস্মৃত হইলেন ; এবং কেহই তঁহাকে র্তাহার অঙ্গীকার স্মরণ করাইয়া, তাহার বিরাগভাজন হইতে সাহস করিল। না । কৈসারের ধনাগার হইতে সে বিশ হাজার টাকা আর বাহির হইল না ! যাহারা রাজকীয় সাহায্য লাভের আশায় উৎফুল্ল হইয়া প্ৰভুত অর্থব্যয়ে পরিচ্ছদ প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন, অবশেষে তাহাদিগকে চারি