পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য ܣ দিক অন্ধকার দেখিতে হইল। র্যাহারা বলিয়াছিলেন, “সাম্রাট ত অনেক । টাকা দিবেনই, তাহার উপর দুই একশত টাকা অধিক দিয়া পোষাকটা জমকালো করিয়া লইতে হানি কি ? দুই একশত টাকা ঘর হইতে দিতে আমাদের তেমন কষ্ট হইবে না।”-ৰ্তাহারা কৈসারের অঙ্গীকার রক্ষার ব্যবস্থা দেখিয়া ক্ষোভে দুঃখে আহার নিদ্ৰা ত্যাগ করিলেন।—যিনি স্বীয় কৰ্ম্মচারীগণকে সাহায্য করিবার অঙ্গীকায়ে আবদ্ধ হইয়া অবশেষে এই ভাবে নিরাশ করিতে পারেন, তিনি তাহার মাতুল-পুত্ৰ—আমাদের সম্রাটকে বেলজিয়মের সহিত সন্ধির সর্ব পালন করিতে দেখিয়া সেই সন্ধি-পত্ৰকে ‘চোতা কাগজ’ বলিয়া নাসিক কুঞ্চিত করিবেন, ইহাতে বিস্মিত হইবার কারণ নাই।-তেজস্বীর সকলই শোভা পায় ! কৈসারকে এই ভাবে অঙ্গীকার-ভঙ্গ করিতে দেখিয়া জৰ্ম্মান রাজধানীতে যখন তুমুল আন্দোলন চলিতেছিল, সেই সময় তাহার। আর একটি ব্যবহারে প্রজা-সভার প্রতিনিধিগণ র্তাহার প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। স্বৰ্গীয়া ভারতেশ্বরী ভিক্টোরিয়ার “হীরক-জুবিলী’র কথা অনেকেরই স্মরণ থাকিতে পারে ; এই ‘জুবিলী” উৎসবে জৰ্ম্মান সম্রাটের পক্ষ হইতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে তাহার। ভ্ৰাতা হেনরীর ইংলেণ্ডে যাইবার কথা হয়। কৈসার হেনরীর প্রবাস-যাত্রার জন্য যে জাহাজখানি নির্দিষ্ট করেন, তাহার নাম ‘কোয়েনিগ উইলহেম ; ( Koenig Wilhelm )-এখনি “মানোয়ারী” জাহাজ। জাহাজখানি সেকেলে, ও আদৌ সুগঠিত নহে। কৈসার বুঝিয়াছিলেন, এই কদৰ্য্য জাহাজে আরোহণ করিয়া নিমন্ত্রণ রক্ষায় যাইতে র্তাহার সহোদরের আপত্তি হইতে পারে ; এইজন্য তিনি হেনরীকে পত্ৰ লিখিয়া জানাইলেন, “কি করিব ভাই! ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট জাহাজ তোমাকে দিতে পারিলাম না ; fatig (CT-cert vs. cartresar (unpatriotic scamps