পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় ଧ ଧଳ কৈসারের এই কঠোর মন্তব্য শ্ৰবণ করিয়া তঁহার বালক পুত্ৰ ভয়ে এরূপ হতভম্ব হইলেন যে, তঁহাকে তৎক্ষণাৎ ভোজনাগার হইতে কক্ষান্তরে লইয়া যাওয়া হইল। সে সময় যাহারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তাহারা সকলেই অত্যন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিলেন ; আনন্দ, স্মৃৰ্ত্তি মুহূৰ্ত্তে অন্তহিত হইল! কৈসারের কথা শুনিয়া সকলে বুঝিলেন, সাম্রাজ্ঞী, রাজকুমারগণ এবং রাজ-সহোদর অনেক বিষয়েই প্রজাসাধারণের পর্য্যায়ভুক্ত -চক্ষুলজ্জা থাকিলে কৈসার পুত্রের নিকট এ কথা বলিতে কুষ্ঠিত হইতেন। কৈসার প্রজা-সভার সদস্যগণকে ‘ “স্বদেশ-প্ৰেমহীন অকৰ্ম্মণ্য ইতরের দল’ বলিয়া মন্তব্য প্ৰকাশে কুষ্ঠিত হন নাই বটে, কিন্তু এই ‘অকৰ্ম্মণ্য ইতরের দল’ই নৌ-বিভাগের ব্যয়ের পরিমাণ অল্প দিনে যেরূপ বৰ্দ্ধিত করিয়াছিলেন, অন্য কোনও দেশে-বোধ হয় ইংলণ্ড ব্যতীত পৃথিবীর কুত্ৰাপি,-সেন্ধপ বৰ্দ্ধিত হয় নাই। প্ৰথম উইলহেমের সময় প্রতি-বৎসর নৌ-বিভাগে দুই কোটী সত্তর লক্ষ পাউণ্ড ব্যয় হইত ; কিন্তু জৰ্ম্মানীর প্রজা-সভা কৈসার দ্বিতীয় উইলহেমের রাজত্বকালে নৌ-বিভাগের উন্নতিকল্পে বার্ষিক পাঁচ কোটী পঞ্চাশ লক্ষ পাউণ্ড মঞ্জুর করেন! দুই কোটী সত্তর লক্ষের স্থানে বাৰ্ষিক পাঁচ কোটী পঞ্চাশ লক্ষ পাউণ্ড মঞ্জুর করিয়াও প্ৰজা-সভার সদস্যগণ কৈসারের নিকট “স্বদেশ-প্ৰেমহীন অপদার্থ ইতর’ বলিয়া অভিহিত হইলেন -যেন তঁহাদেরই ক্ৰটীতে দেশে এমন একখানি ভাল জাহাজ নাই, যাহাতে সম্রাট ভঁাহার। ভ্ৰাতাকে ইংলণ্ডে পাঠাইতে পারেন !