পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्लै रूक्षाश्च SSV). কায় মৃগয়ার উপযোগী বন্য জন্তুর অভাব হয়, তাহা হইলে এই সকল কুলি-মজুর অন্য জমীদারের এলাকাভুক্ত অরণ্য হইতে পশু তাড়াইয়া আনিয়া তাহার এলাকায় হাজির করে। বনের পশুগুলিকে এক বন হইতে বনান্তরে তাড়াইয়া আনিলেই যে তাহারা সম্রাট কর্তৃক নিহত হইয়া পশুজন্ম সফল করিবার আশায় সেই জঙ্গলে বসিয়া থাকিবে, এরূপ আশা করা যায় না । যাহাতে তাহারা অন্ধকার রাত্রে অন্যের অলক্ষ্যে সেই বন হইতে বানান্তরে পলায়ন করিতে না পারে, এই জন্য ঐ সকল কুলি-মজুরকে সমস্ত রাত্রি ধরিয়া বনের চারি দিকে পাহারা দিতে হয় । কখন কখন ভিন্ন এলাকায় ফান্দ পাতিয়া আরণ্য পাণ্ড ধৃত করা হয় ; এবং কৈসার যে স্থানে শিকার করিবেন স্থির থাকে, সেই স্থানে তাহাদিগকে আনিয়া পিঞ্জরাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়। সম্রাট মৃগয়ায় প্ৰবৃত্ত হইবার অল্পকাল পূর্বে তাহাদিগকে পিঞ্জর হইতে মুক্তিদান করা হয় ; অর্থাৎ পিঞ্জর হইতে মুক্তিলাভ করিয়াই তাহারা কৈসার-হস্তে পশুজন্ম হইতে পরিত্ৰাণ লাভ করে । এই সকল কাৰ্য্যে এক একজন জমীদারের দশ পনের হাজার টাকা খরচ হইয়া যায় ; কিন্তু এ ত মৃগয়ার ব্যয় ; কৈসারের অভ্যর্থনার ব্যয়ইহা অপেক্ষা অনেক অধিক । কৈসার তঁহার যে-কোনও সন্ত্রান্ত প্ৰজার জমীদারীতে মৃগয়া করিতে যাইবার সময় বিশ পচিশজন মোসাহেব সঙ্গে লইয়া যান ; এতদ্ভিন্ন তাহার অনুচরের সংখ্যা আরও অধিক । জমীদার মহাশয়েরা সম্রাটের এই সকল অনুচর ও পারিষদের পরিচর্য্যার সুচারু ব্যবস্থা করিতেও বাধ্য ; সম্রাটের বহু সংখ্যক অশ্বও মৃগয়াক্ষেত্রে গমন করে ; সেই সকল অশ্বের উপযুক্ত বাসস্থান, উৎকৃষ্ট চানা ও পুষ্টিকর দানা, সরস নধর তৃণাদি—সমস্তই সে বেচারাদের জুটাইয়া রাখিতে হয়। কৈসারের অনুচর ও পারিষদেরা যেন বিবাহের বরযাত্রী :