পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:S QV9 কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য এই গ্রন্থের এক স্থানে লিখিত আছে, “রাজপুত্রদের যেসকল গুণ থাকা আবশ্যক, তন্মধ্যে সংযম একটি প্রধান গুণ। কিন্তু যাহারা মৃগয়াসক্ত, তাহাদের মধ্যে এই গুণ কদাচ দেখিতে পাওয়া যায় না। তাহারা একান্ত অধীর চিত্তে মৃগয়ায় লিপ্ত হয়, এবং পশুহত্যা করিয়া শোণিতরঞ্জিত নিষ্ঠুর আমোদে তৃপ্তিলাভ করে।”—পুস্তকের যে পৃষ্ঠায় এই কয়েকটি ছত্র লেখা আছে, সেই পৃষ্ঠাখানি অন্য পৃষ্ঠার সহিত আটা দিয়া এমন ভাবে আটকাইয়া রাখা হইয়াছে যে, দেখিলেই মনে হয়, উভয় পৃষ্টায় দৈবাৎ জোড়া লাগিয়া গিয়াছে, কেহ মতলব করিয়া এরূপ করে নাই।—সম্রাটনন্দনগণ এই কয়েক ছত্ৰ পাঠ করিয়া সম্রাটের মৃগয়াসক্তির পরিচয়ে পাছে তঁহার প্রতি হতশ্রদ্ধ হয়, এই আশঙ্কায় পুস্তকখানি লুকাইয়া রাখা झग्न ! কৈসার উইলহেম কেবল মৃগয়া করিয়াই ক্ষান্ত থাকেন। এরূপ নহে ; তিনি যে অসামান্য শিকারী, অন্য রূপেও ইহা প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল। তিনি তঁাহার। মৃগয়া-নৈপুণ্য প্রদর্শনের অভিপ্ৰায়ে তঁহার উপবেশন-কক্ষটি নিহত জীব-জন্তুর কঙ্কাল, শৃঙ্গ ও চৰ্ম্মাদিতে আচ্ছন্ন করিয়া রাখেন । এই কক্ষে একটি সুদীর্ঘ টেবিল আছে ; টেবিলের উপর সবুজ বস্ত্র প্রসারিত। সম্বৎসরে তিনি যত হরিণ শিকার করেন, তাহাদের শৃঙ্গগুলি টেবিলের নীচে ও মেঝের চারিদিকে সংরক্ষিত হয়।—সেই হরিণ শূঙ্গ-কণ্টকিত কক্ষে উপবেশন পূর্বক কৈসার -द्धकरीJ श्र° ८झन् । কৈসার রসিকতাচ্ছলে তঁহার চাটুকার ও মোসাহেবগণকে সময়ে সময়ে এমন আক্রমণ করেন যে, সে বেচারাদের পিত্ত জ্বলিয়া যায় ; কিন্তু ইচ্ছা করিলে তিনি তাহদের চিত্তরঞ্জন করিতেও পারেন। খোস‘গল্পে তাহার যথেষ্ট শক্তির পরিচয় পাওয়া ষায় ; এমন কি, স্কুৰ্ত্তি হইলে