পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y Rbro কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য ১৮৯২ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত যিনি কৈসারের সর্বাপেক্ষা অধিক প্ৰিয়পাত্ৰ ছিলেন, তঁাহার নাম-কুঞ্জে । তিনি কৈসারের বিচার-সচিব ছিলেন। অষ্টিয়ার যুবরাজ পরলোকগত রডলফের সহিত কৈসারের অত্যন্ত প্ৰণয় ছিল। কিন্তু ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে হঠাৎ একদিন তঁহাদের এই প্ৰণয়বন্ধন ছিন্ন হয়। সন্ত্ৰীক মৃগয়া করিতে গিয়া কৈসার একদিন রাত্রিকালে তরল অবস্থায় রডলফা-পত্নীর কক্ষে প্ৰবেশ করিয়াছিলেন!। যুবরাজপত্নী ষ্টীফেনী ইহাতে ভয় পাইয়া এমন আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠেন যে, তাহাতে কৈসর-মহিষীর নিদ্রাভঙ্গ হয়। পরদিন প্ৰভাতে কৈসরমহিষীর সহিত যুবরাজ-বধূর বাচসা হয় ; ইনি বলেন, তোমার স্বামীর দোষে এই বিভ্ৰাট ঘটিয়াছে ; উনি বলেন, দোষ তোমারই স্বামীর। এই বাচসার ফলে বন্ধুদ্বয় পরস্পরের সহিত বাক্যালাপ পৰ্য্যন্ত বন্ধ করেন। কৈসারের প্রাসাদে বহু রমণী নানা কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকে ; সম্রাটের পারিষদবর্গের কক্ষেও তাহাদিগকে কাজ করিতে হয়। প্ৰত্যুষে ছয়টার সময় তাহার কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হয় ; সন্ধ্যা ছয়টা, এমন কি, রাত্ৰি আটটা পৰ্য্যন্তও অনেককে কাজ করিতে হয়। পরিচারক বর্গের বাসগৃহে, রন্ধনশালায়, নানা স্থানে তাহদের নানা প্ৰকার কাৰ্য্য। জল তোলা, কাট বহা, ঝাড়ু দেওয়া প্রভৃতি কাৰ্য্যের ভারও তাঁহাদের উপর ন্যস্ত থাকে ; কিন্তু এই প্ৰকাণ্ড প্রাসাদে তাহদের বিশ্রাম করিবার বা রাধিয়া খাইবার জন্য একটু স্থান নাই! সাম্রাজ্ঞীর কোন কোন সহচরী এই অভাগিনীগণের প্রতি কৃপাপরবশ হইয়া একদিন হাউজ মসলিকে তাহদের অসুবিধা দূর করিতে অনুরোধ করায়-তিনি বলিয়াছিলেন, “উহার চাকরী করে, বেতন পায়, খাওয়াইবার জন্য ত উহাদের আনা হয় নাই।” তাহারা বেতন পায় বটে, কিন্তু প্ৰত্যহ বার চৌদ ঘণ্টা পরিশ্রম